ঢাকা | এপ্রিল ১৪, ২০২৫ - ১০:০৬ অপরাহ্ন

মাঙ্কিপক্স প্রতিরোধে প্রথম টিকার ট্রায়াল শুরু করল চীন

  • আপডেট: Wednesday, April 9, 2025 - 8:54 pm

অনলাইন ডেস্ক: ভাইরাসজনিত প্রাণঘাতী রোগ মাঙ্কিপক্স বা এমপক্স প্রতিরোধে চীনের তৈরি প্রথম টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। ১৮ বছর ও তদুর্ধ্ব শতাধিক নারী-পুরুষের দেহে প্রয়োগের মাধ্যমে এর কার্যকারিতা পরীক্ষা করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া এমপক্সের টিকা তৈরির চেষ্টা করছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ। তবে এক্ষেত্রে সফলতার হার খুবই কম। এখন পর্যন্ত তিনটি দেশ এমপক্স টিকা তৈরি করেছে। দেশগুলো হলো যুক্তরাষ্ট্র, ডেনমার্ক ও চীন।

যুক্তরাষ্ট্র দুটি ভ্যাকসিন তৈরি করেছে। মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) অনুমোদিত ভ্যাকসিন দুটি যথাক্রমে জেওয়াইএনএনইওস ও এসিএএম২০০০। এছাড়া ডেনমার্ক একটি টিকা তৈরি করেছে যা গত বছর অনুমোদন দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

ডেনমার্কের ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বাভারিয়ান নর্ডিক এ/এস ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন অনুযায়ী, ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের দুই ডোজে এ টিকা দেয়া যাবে।

বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে এমপক্সের টিকা তৈরিতে সফল হলো চীন। চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ কর্পোরেশনের অধীনে সাংহাই ইনস্টিটিউট অফ বায়োলজিক্যাল প্রোডাক্টস (এসআইবিপি) একক প্রচেষ্টায় সম্প্রতি ভ্যাকসিনটি তৈরি করেছে।

ভ্যাকসিনটি গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীনের ন্যাশনাল মেডিকেল প্রোডাক্টস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন থেকে ক্লিনিকাল ট্রায়ালের অনুমোদন পায়। তবে টিকার নাম এখনও প্রকাশ করা হয়নি।

চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদামাধ্যম সিনহুয়া জানায়, মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) চীনের মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ হেনানের রাজধানী শহর ঝেনঝৌ-এর হেনান ইনফেকশন ডিজিজ হাসপাতালে টিকাটির ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শুরু হয়েছে। যা আগামী ছয় মাস ধরে চলবে।

কোম্পানির এক বিবৃতি অনুসারে, এই ট্রায়াল বা পরীক্ষায় ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সি ১২০ জন স্বেচ্ছাসেবককে যুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬০ জন সুস্থ ব্যক্তি, ৩০ জন পুরুষ যারা পুরুষদের সাথে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন এবং ৩০ জন এইচআইভি আক্রান্ত ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত।

এমপক্স একটি ভাইরাসজনিত প্রাণীজাত (জুনোটিক) রোগ। ১৯৫৮ সালে ডেনমার্কের একটি বিজ্ঞানাগারে এক বানরের দেহে সর্বপ্রথম এ রোগ শনাক্ত হয় বলে একে মাঙ্কিপক্স বলা হয়। এ রোগটির প্রাদুর্ভাব ১৯৭০ সাল থেকে প্রধাণত মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার ১১টি দেশে দেখা যায়।

এক সময়ের বিরল ও স্বল্প পরিচিত রোগ এমপক্স প্রথম বিশ্ববাসীর মনযোগ আকর্ষণ করে ২০২২ সালে। ওই বছরের জুলাই মাসে এমপক্সকে বৈশ্বিক স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।