আসামি পাপ্পুর বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, নগরীতে এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার: নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা তালপুকুর এলাকায় মোহাম্মদ রেজওয়ান ইসলাম নামের এক কিশোরের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামির রিমান্ডে দেয়া তথ্যমতে মঙ্গলবার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দামকুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, রেজওয়ান ৯ম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী ছিলো। এর পাশাপশি তিনি তার বাবার অটোরিকশা চালাতেন। গত ২৩ মার্চ ঠাকুরমারা এলাকা থেকে পূর্ব পরিচিত পাপ্পুসহ পাঁচজন অটোরিকশা নিয়ে কাকনহাটে যায়। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি। পরদিন পরিবারের পক্ষ থেকে দামকুড়া থানায় স্থানীয় পাপ্পু নামের একজনকে প্রধান আসামি করে এবং পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ দায়ের করে রেজওয়ানের পরিবার।
এরপর পুলিশ পাপ্পু, পিয়াস, মানিক নামের তিন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে। গত ৭ এপ্রিল আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। রিমান্ডে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা জানান, অটোরিকশা ও তার ব্যাটারির জন্য হত্যা করা হয় রেজওয়ানকে। প্রধান আসামি পাপ্পু জানান, রেজওয়ানের মরদেহ কোথায় রাখা হয়েছে। পরে তাদের দেয়া তথ্যমতে ঘটনার ১৫ দিন পর রেজওয়ানের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। খোঁজ পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছালে সেখানে কান্নার রোল পড়ে যায়। এলাকাবাসী আসামিদের কঠোর শাস্তির দাবি করেন।
আসামিদের স্বীকারোক্তির বরাত দিয়ে ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, প্রথমে রেজওয়ানকে কোমল পানির সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেয়া হয়। এরপর অচেতন অবস্থায় তালপুকুর এলাকায় নির্মাণাধীন ঘরে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখা হয়।
এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী মামলার আসামি পাপ্পুর বাড়িতে গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অগ্নিসংযোগ করে। এসময় নিহত রেজওয়ানের নিকটাত্মীয় এবং প্রতিবেশিরা পাপ্পুসহ এ হত্যাকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। পুলিশ উত্তেজিত জনতাকে শান্ত করেন।