স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী অঞ্চলে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে মোহনপুর উপজেলায় দুজন, নগরীতে একজন এবং পাবনা সাঁথিয়ায় দুজন নিহত হয়েছেন।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে রাজশাহী নওগাঁ আঞ্চলিক মহাসড়কের মোহনপুর উপজেলার মৌমাছি বাজার সংলগ্ন কারিগরি ইনস্টিটিউটের সামনে ড্রাম ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে লিটন (২৭) নামে এক ভ্যানযাত্রী নিহত হন। এদিকে, মোহনপুরের সইপাড়া ট্রাফিক অফিসের সামনে মহাসড়কে দাঁড়িয়ে থাকা খড়বোঝাই ভটভটিতে ধাক্কা দেয় রাজশাহী শহর থেকে আসা মোহনপুর উপজেলার কেশরহাটগামী একটি যাত্রীবাহী সিএনজি অটোরিকশা।

এতে অটোরিকশাযাত্রী বাগমারা উপজেলার সাঁইধাড়া গ্রামের মৃত এনায়েতের ছেলে আব্দুল সামাদ (৭০), তানোর উপজেলার দমদমা গ্রামের রায়হানের স্ত্রী শাপলা খাতুন (৪২), মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার হরিদাগাছি গ্রামের শ্রী রঘুনাথের স্ত্রী মৌমিতা রানী কর্মকার (৬০), একই গ্রামের মৃত ইলিয়াস সোনারের ছেলে মৎস্য কর্মকর্তা বদিউজ্জামান (৬৫), সামপুর হাটের আজাহারের স্ত্রী রানী বেগম (৪২) এবং আজাহারের মেয়ে অপর্ণা (১৩) গুরুতরভাবে আহত হন।

স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আব্দুল সামাদকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। মোহনপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের হয়েছে। মহাসড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

অন্যদিকে, রাজশাহী মহানগরীর উত্তর নওদাপাড়া ট্রাক টার্মিনাল সংলগ্ন সড়কের পাশে এক অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। শাহ মখদুম থানার ওসি মাসুমা মুস্তারিন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। স্থানীয়রা জানান, গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে তারা রাস্তায় একজন বৃদ্ধ ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।

গত কয়েক দিন ধরে নিহত ব্যক্তিকে আমচত্বর এলাকায় ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। ওসি জানান, মৃত্যুর সময় নিহত ব্যক্তির শরীরে ছিল একটি ফুলহাতা চেক টি-শার্ট এবং সাদা পাজামা। বয়স আনুমানিক ৬৫ বছর। মরদেহের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং দুর্ঘটনার প্রকৃত কারণ জানার জন্য তদন্ত শুরু হয়েছে।

অন্যদিকে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার পাবনা-ঢাকা সড়কের শোলাবাড়ীয়া গাঙ্গুহাটি নামের স্থানে মাইকোবাসের ধাক্কায় অটোভ্যান চালক নিহত হয়েছেন। সে উপজেলার আর. আতাইকুলা ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের আবু তালেবের  ছেলে  শফিকুল ইসলাম (৩২)। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান, শফিকুল ইসলাম অটোভ্যান নিয়ে বনগ্রাম হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে শোলাবাড়ীয়া গাঙ্গহাটি নামক স্থানে পৌছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মাইক্রোবাস ধাক্কা দেয় এতে সে ছিটকে পড়ে গুরুতর আহত হয়। স্থানীয় জনগন সাথে সাথে তাকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শফিকুল মারা যান।

তার দুই ছেলে দুই কন্যা রয়েছে। এ ব্যাপারে মাধপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ি ওসি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।