ঢাকা | মে ১, ২০২৫ - ৫:০৮ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে বইছে মাঝারি তাপপ্রবাহ

  • আপডেট: Saturday, April 5, 2025 - 11:05 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে শনিবার বেলা তিনটায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। স্থানীয় আবহাওয়া কার্যালয় বলছে, আবহাওয়ার এই তাপমাত্রা মাঝারি তাপপ্রবাহ। এই পরিস্থিতি অব্যাহত থাকবে বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া পর্যবেক্ষকেরা।

রাজশাহী আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে সর্বশেষ গত ২১ ও ২২ মার্চ ৮ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়। তখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসে। তারপর ২৩ মার্চ থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। ২৮ মার্চ চলতি মৌসুমের সর্বোচ্চ ৩৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৬ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল শনিবার বিকেলে রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস; অর্থাৎ এক দিনের ব্যবধানে তাপ বেড়েছে প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

কোনো এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ, ৪০ থেকে ৪১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস হলে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা তার বেশি হলে তাকে অতি তীব্র তাপপ্রবাহ বলা হয়। সেই হিসাবে রাজশাহীতে শনিবার মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছে। শুক্রবার ছিল মৃদু তাপপ্রবাহ।

রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সহকারী পর্যবেক্ষক লতিফা হেলেন বলেন, রাজশাহীতে আগের দিনের তুলনায় তাপমাত্রা বেড়েছে। শনিবার মাঝারি তাপপ্রবাহ বইছে। এটি অব্যাহত থাকবে।

চৈত্রের তাপপ্রবাহে ভোগান্তি বেড়েছে সাধারণ মানুষের। রোদ ও তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে মানুষ কাজে বের হয়েছেন। গরম থেকে বাঁচতে গামছা বা রুমাল ব্যবহার করছেন তাঁরা। কেউ কেউ ছাতা নিয়ে বাইরে বের হচ্ছেন। গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেককে পুকুর বা লেকে সাঁতার কাটতে দেখা গেছে।

তীব্র রোদের মধ্যে রাজশাহী নগরীর চন্ডীপুর এলাকায় একটি পুরোনো ভবন ভাঙার কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তাঁদের একজন ফয়েজ মিয়া বলেন, ‘একটু পরপর গলা শুকিয়ে যাচ্ছে। পানি বেশি বেশি পান করছি, কিন্তু শরীর থেকে ঘাম বের হয়ে যাচ্ছে। এই রোদে কাজ করা কঠিন।’

নগরীর কুমারপাড়া এলাকায় রিকশাচালক রশিদ বলেন, ঈদের পর এমনি শহর একটু ফাঁকা হয়ে গেছে। গতকাল বেলা ১১টার পর থেকে সন্ধ্যার আগ পর্যন্ত মানুষ থাকে না। গরমে কেউ বের হয় না। পেটের তাগিদে রিকশা নিয়ে বের হতে হয়। শনিবার সকাল থেকে ২০০ টাকার কাজও হয়নি। বিকেল হতে চললো।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS