ঢাকা | এপ্রিল ৩০, ২০২৫ - ১২:১০ পূর্বাহ্ন

কামারপাড়ায় ব্যবসায়ীদের লাখ টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই

  • আপডেট: Saturday, April 5, 2025 - 9:47 pm

মোহনপুর প্রতিনিধি: কামারপাড়া বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের লাখ-লাখ টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

গত শুক্রবার দিবাগত রাত আনুমানিক ১২টা ১০ মিনিটের দিকে রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৩ নং রায়ঘাটি ইউপির অন্তর্গত কামারপাড়া বাজারে বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের লাখ টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

ভুক্তভোগী ও স্থানীর সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার সারাদিন ব্যবসা-বাণিজ্য শেষ করে দোকান মালিকরা তাদের নিজ নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাসায় চলে যায়। পরে রাত আনুমানিক ১২ টা ১০/১৫ মিনিটের দিকে লালইচ গ্রামের আব্দুল লতিবের মার্কেটের দোকান ঘরে আগুন লেগেছে বলে তারা জানতে পারে।

খবর পেয়ে মোহনপুর ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে আসে। পাশাপাশি দোকান মালিক, ব্যবসায়ীরা সহ স্থানীয় লোকজনদের প্রচেষ্টায় আগুন নিভাতে সক্ষম হলেও ব্যবসায়ীদের লাখ টাকার মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়।

এই আগুনে প্রায় ৬ জন ব্যবসায়ীর মালামাল আগুনে পুড়ে গেছে। তারমধ্যে সবচেয়ে বেশি মালামাল পুড়ে গেছে ইউপির সরমইল গ্রামের মৃত নবাব আলীর ছেলে সিরাজুল ইসলামের।

সিরাজুল ইসলাম এর ছেলে রনি জানান, পুড়ে যাওয়া ওই মার্কেটে আমাদের বড় একটা গোডাউন ঘর ভাড়া নেয়া ছিল। সেই ঘরে আমরা বিভিন্ন ধরনের মুদি দোকানের মালামাল রেখেছিলাম।

যেমন তরল পানীয় স্প্রিড, সেভেন আপ, ক্লেমন সহ মোজো, মিনিকেট চাল, লাচ্ছা-সেমাই, পটেটো চিপস, কয়েল, ভূষি, লবণ, ফিড বয়লার, প্লেট-গ্লাস, চিনি, টিস্যু, বিস্কুট, বেসন, আটা, হারপিক, সিগারেট, মুড়ি, কেকসহ অন্যান্য খুচরা পণ্য।

আমাদের সবগুলো মালামাল আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এ আগুন লাগায় আমাদের ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার। অন্যান্য ব্যবসায়ীদেরও অনেক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।

আমরা পথে বসে গেছি। ব্যবসায়িক কাজে ইসলামী ব্যাংকে আমাদের ১৫ লাখ টাকার একটি সিসি লোন এবং সিসিডিবি এনজিওতে ১৫ লাখ টাকার লোন রয়েছে। এখন আমরা চরম হতাশা এবং দুশ্চিন্তায় ভুগছি কিভাবে এই লোনগুলো পরিশোধ করব।

আগুনে পুড়া উক্ত মার্কেটের মালিক আব্দুল লতিফের ছেলে আব্দুল আলীম জানায়, আমাদের আগুনে পুড়া মার্কেটে বাঁশ, কাঠ, টিন দিয়ে ঘর করা ছিল।

আমাদের পুরো মার্কেট পুড়ে শেষ হয়ে গেছে। দোকান ও গোডাউন ঘর সহ মোট ছয় জন ব্যবসায়ীর ভাড়াঘর ছিল সেই মার্কেটে। তাদের দোকান ঘরগুলোতে অনেক টাকার মালামাল ছিল। আগুনে সবগুলো ঘর ও মালামাল পুড়ে শেষ হয়ে গেছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রনির পিতা সিরাজুল ইসলামের। সিরাজুল চাচার প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ টাকার মালামাল পড়ে ছাই হয়ে গেছে।

তবে আমার মার্কেট সহ সকল ব্যবসায়ীদের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসাব করলে এ আগুনে আমাদের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। জানতে চাইলে আব্দুল আলিম বলে, আগুন কিভাবে লেগেছে এটা আমরা এখনো জানতে সক্ষম হয়নি।

এ বিষয়ে মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আয়শা সিদ্দিকা বলেন, আগুন লাগার ঘটনাটা সত্যিই খুব দুঃখজনক। সেখানে আগুন লেগে অনেক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। আগামীতে সকলকে এই সমস্ত বিষয়ের সচেতন থাকার অনুরোধ জানাচ্ছি।

Hi-performance fast WordPress hosting by FireVPS