বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল স্কুল শিক্ষিকার, স্বামী-সন্তান আহত

বগুড়া প্রতিনিধি: স্বামী ও সন্তানকে নিয়ে কেনাকাটা করতে গিয়েছিলেন স্কুল শিক্ষিকা শামীমা আক্তার (৩৫)। কেনাকাটা শেষে ইফতার কিনে স্বামী-সন্তানকে নিয়ে মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি ফিরছিলেন তিনি। পথিমধ্যে ঘটল বিপত্তি। বাসের ধাক্কায় প্রাণ গেল শিক্ষিকার।
আহত হলো তার স্বামী ও সন্তান। বগুড়ার নন্দীগ্রামে উপজেলার কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে শুক্রবার বিকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শামীমা আক্তার উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের পেং বোনারপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা। তিনি পেং বোনারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা বুড়ইল ইউনিয়নের ৯ নাম্বার ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল হাকিমের স্ত্রী। তাদের ছেলে সানজিল (১৫) স্থানীয় একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র।
সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হাকিম ও সানজিল বর্তমানে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঈদের কেনাকাটা করতে শুক্রবার দুপুরে মোটরসাইকেলযোগে স্ত্রী শামীমা আক্তার ও ছেলে সানজিলকে নিয়ে বগুড়া শহরের মার্কেটে আসেন আবদুল হাকিম। কেনাকাটা শেষে তারা বাড়ি ফিরছিলেন।
ইফতারের আগ মুহূর্তে কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে ইফতার কেনেন তারা। এরপর তারা মহাসড়কে উঠলে রাজশাহী ছেড়ে আসা বগুড়াগামী সেঞ্চুরি পরিবহনের একটি বাস মোটরসাইকেলটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা তিনজন মহাসড়কে ছিটকে পড়েন।
স্থানীয়রা আহত দম্পতি ও তাদের ছেলেকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শামীমাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্কুল ছাত্র সানজিলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়েছে।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার ওসি মনোয়ারুজ্জামান বলেন, ঘাতক বাসটিকে জব্দ করা গেলেও এর চালক ও হেলপার পালিয়েছে গেছে। নিহত শিক্ষিকার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানায় দুর্ঘটনাজনিত আইনে মামলা হয়েছে।