নিয়ামতপুরে এক দিনেই কোটি টাকার ভূগর্ভস্থ পানি বিক্রি
রেজাউল ইসলাম সেলিম, নিয়ামতপুর থেকে: নিয়ামতপুর উপজেলায় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) প্রায় কোটি টাকার ভূগর্ভস্থ পানি বিক্রি করে তাক লাগিয়েছে সবার মাঝে।
বৃহস্পতিবার একদিনেই এ পরিমাণ টাকার পানি বিক্রির তথ্য নিশ্চিত করেছেন নিয়ামতপুর বিএমডিএ কর্তৃপক্ষের সহকারী কোষাধ্যক্ষ মাসুদ রানা। এদিন নিয়ামতপুর বিএমডিএ ভূগর্ভস্থ পানি বিক্রি করেছে ৯৪ লাখ ৩৫ হাজার ১শ ২৫ টাকার। জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে সেচ মোকাবেলা করতে নিয়ামতপুর উপজেলায় বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) ৬০৩টি গভীর নলকূপ চালু রয়েছে।
এসকল গভীর নলকূপের আওতায় এবার বোরোর আবাদ হয়েছে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর জমিতে। এসব জমিতে সেচের জন্য প্রতি ঘন্টায় ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন হচ্ছে হাজার-হাজার কিউসেক। ফলে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর নীচে নেমে যাচ্ছে দিনদিন। বিকল হয়ে পড়ছে বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকার হ্যান্ড টিউবয়েল।
ঠিকমতো পানি উঠছে না বিএমডিএ’র গভীর নলকূপেও। এমন পরিস্থিতিতে ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার কমাতে বললেও শুনছেন না কেউ। মাঠ পর্যায়েও চাষীদের যথাযথ অবহিত করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ফলে বোরোর আবাদ তেমন খুব একটা কমেনি নিয়ামতপুরে। এতে করে পরিস্থিতি ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে ভয়ঙ্করের দিকে।
সরেজমিনে বিএমডিএ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন ভেন্ডিং ডিলার (প্রি-পেইড মিটারের কার্ড রিচার্জার) পানি কেনা বেচার ব্যাংক পে-অর্ডার হাতে নিয়ে অপেক্ষা করছেন। কারো হাতে দেখা গেলো এক লাখ টাকার, কারো হাতে দুই লাখ আবার কারো হাতে দেখা গেল পাঁচ লাখ টাকার বিএমডিএর অনুকূলে রূপালী ব্যাংকের পে-অর্ডার।
এভাবেই ডিলাররা ব্যাংকে টাকা জমা করে বিএমডিএ অফিসে এসে ভেন্ডিং মেশিনে নিয়ে যান টাকা। যা কৃষকের মাঝে সেচ কাজে বিক্রি করা হবে। এভাবেই বিএমডিএ প্রতিদিন ভুগর্ভস্থ পানি বিক্রি করছে কোটি-কোটি টাকার। বোরোর মাঠে সেচ সঙ্কট বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলী হারুন অর রশীদ জানান, এখন পর্যন্ত সেচ সঙ্কট দেখা দেয়নি তবে দেখা দিলে বিকল্প ব্যবস্থার মাধ্যমে তা সমাধান করা হবে।











