যে শর্তে ইমরান খানের ‘সাক্ষাতের দিন’ পুনর্বহাল করল হাইকোর্ট

অনলাইন ডেস্ক: দুটি শর্তে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের সঙ্গে তার শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাক্ষাতের নির্ধারিত দিন পুনর্বহাল করেছে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট।
এখন থেকে প্রতি মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার কারাগারে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারবেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা।
তবে, তার সমন্বয়কারী সালমান আকরাম রাজার দেওয়া নামের তালিকায় থাকা ব্যক্তিরাই কেবল সাক্ষাৎ করতে পারবেন। সেই সঙ্গে সাক্ষাতকারীরা কেউই সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমে কথা বলতে পারবেন না বলেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
ইসলামাবাদ হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি সরফরাজ ডোগরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ সোমবার এই সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন- বিচারপতি আরবাব মুহাম্মদ তাহির ও বিচারপতি মুহাম্মদ আজম খান। খবর জিও নিউজের।
এর আগে, আদিয়ালা কারাগারের সুপারিনটেনডেন্ট আব্দুল গফুর আনজুম তার নিজস্ব এখতিয়ার ব্যবহার করে ইমরানের সাক্ষাৎ শুধু মঙ্গলবারে সীমিত করেছিলেন। তবে আদালত সেই সিদ্ধান্ত সংশোধন করে সপ্তাহে দুই দিন সাক্ষাতের অনুমতি দিয়েছে।
এ সময় বিচারপতি ডোগর বলেন, ‘সাক্ষাৎ শেষে সরাসরি চলে যাওয়া উচিত, মিডিয়ার সামনে কথা বলার প্রয়োজন নেই। আমরা সাক্ষাৎকারীদের কাছ থেকে একটি অঙ্গীকারনামা নেবো, যাতে তারা সাক্ষাতের পর কোনো গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা না বলে’।
সাক্ষাতের দিন নির্ধারণে বিতর্ক
এদিকে শুনানির সময় কারা সুপারিনটেনডেন্টের আইনজীবী নবীদ মালিক জানান, ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত একই নিয়ম মেনে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হতো। তবে জানুয়ারিতে ইমরান খানের বন্দির মর্যাদা পরিবর্তিত হয়।
তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালের জানুয়ারির পর ইমরান খান একজন বিচারাধীন বন্দি থেকে দণ্ডপ্রাপ্ত বন্দিতে পরিণত হন, যা তার নিরাপত্তার ঝুঁকি বাড়িয়েছে’।
এই আইনজীবী আরও দাবি করেন, নিরাপত্তার কারণে দুটি পৃথক দিনে সাক্ষাৎ পরিচালনা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। তাই সমস্ত সাক্ষাৎ মঙ্গলবারে একত্রিত করা হয়েছিল।
পিটিআই নেতাদের প্রতিক্রিয়া
এদিকে পিটিআই নেতা সালমান আকরাম রাজা আদালতের কাছে অনুরোধ করেন, সপ্তাহে দুই দিন সাক্ষাৎ পুনর্বহাল করার জন্য।
বিচারপতি ডোগর জানান, ‘কারা সাক্ষাতের বিষয়ে ১০০টিরও বেশি আবেদন জমা পড়েছে। যার মধ্যে প্রায় ৯৮টি নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আমরা চাই, এই ইস্যু একবারেই মীমাংসা হোক’।
মূলত সোমবার দেওয়া আদালতের এই রায়ের ফলে ইমরান খান তার আইনজীবী, পরিবার ও ঘনিষ্ঠ সহযোগীদের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সাক্ষাৎ করতে পারবেন। তবে তিনি বা তার দলের কেউ সাক্ষাতের পর মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না।