ঢাকা | মার্চ ২৬, ২০২৫ - ১:০৮ অপরাহ্ন

শিরোনাম

পাবনায় শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবকের যাবজ্জীবন

  • আপডেট: Monday, March 24, 2025 - 10:24 pm

পাবনা প্রতিনিধি: পাবনার ফরিদপুর উপজেলায় এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

সোমবার দুপুরে পাবনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মিজানুর রহমান এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডপ্রাপ্ত নাজমুল হোসেন (২৯) ফরিদপুর উপজেলা সদরের খলিশাদহ গ্রামের মৃত: আব্দুল লতিফ ওরফে লেদুর ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ফরিদপুর উপজেলা সদরের একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী প্রতিদিনের ন্যায় গত ২০২২ সালের ২ এপ্রিল সকাল সাড়ে ৬টার দিকে প্রাইভেট পড়তে যাচ্ছিল।

শিশুটি খলিশাদহ ওয়াপদা বাঁধের কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি শিশুটিকে জোরপূর্বক পার্শ্ববর্তী শরিফুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে।

এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে ওই দিনই অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে অভিযুক্ত করে ফরিদপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন ফরিদপুর থানার বর্তমানে ব্রাক্ষণবাড়িয়া থানার ওসি (তদন্ত) তানভীর আহমদ জানান, ঘটনার পর ঘটনাস্থলের আশে পাশের কয়েকটি স্থানের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে কয়েক জনের ছবি সংগ্রহ করে ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে দেখালে শিশুটি নাজমুলকে শনাক্ত করে।

ঘটনার চারদিন পর তথ্য প্রসুক্তির সাহায্যে নাজমুল হোসেনকে সিরাজগঞ্জ জেলা সদর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ধর্ষণের প্রমাণ পাওয়ায় এক মাত্র নাজমুলকে অভিযুক্ত করে ২০২৩ সালের ১৯ মে আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করি।

আদালতের বিচারক উভয় পক্ষের দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে সোমবার এই রায় ঘোষণা করেন।

সরকার পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পিপি অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান শাহীন ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ রেন্টু। রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান শাহীন বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা আদালতের এই আদেশে খুশি। তবে অসন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন আসামি পক্ষের অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ রেন্টু। তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করবো। আশা করি- সেখানে আমার মক্কেল ন্যায় বিচার পাবেন।