তানোরে সেচ দেয়ার নামে চাঁদাবাজি, ক্ষুব্ধ কৃষকরা

সাইদ সাজু, তানোর থেকে: রাজশাহীর তানোরে পূর্ব শক্রতার জের ধরে চাষাবাদের জন্য তিন বিঘা জমিতে সেচ দিতে ২৫ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ উঠেছে গভীর নলকূপের অপারেটরের স্বামী মুন্ডুমালা পৌর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও কৃঞ্চপুর আদর্শ মহিলা ডিগ্রি কলেজের আইসিটি বিভাগের সিনিয়র প্রভাষক সারওয়ার জাহানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ উঠেছে, চাঁদার টাকা না দেয়ার কারণে তিনি সেচ দিচ্ছে না। এ কারণে পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে জমি। রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা পৌর এলাকার হাসনাপাড়া চোরখোর মৌজায় অবস্থিত গভীর নলকূপের আওতায় সেচের জমিতে ঘটেছে এমন ঘটনা।
এ ঘটনার প্রতিকার চেয়ে রোববার সকালে ভুক্তভোগী কৃষক নাসির উদ্দীন বাদী হয়ে অপারেটরের স্বামী চাঁদা দাবি করা সারওয়ার জাহানকে বিবাদী করে সহকারী প্রকৌশলী বিএমডিএ তানোর জোনে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগের অনুলিপি উপজেলা নির্বাহীর দপ্তরেও দেয়া হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, মুন্ডুমালা পৌর এলাকার হাসনাপাড়া চোরখোর গ্রামের পূর্ব দিকে গভীর নলকূপ রয়েছে। যার জেএল নং ৫৬ ও দাগ নম্বর ৮৭৯। গভীর নলকূপের সামান্য পূর্ব দিকে ভুক্তভোগী কৃষক নাসির উদ্দীনের জমি পতিত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। তার জমির পরে ও আগের জমিতে ধান রোপণ করা আছে।
সেখান থেকেই মোবাইল করে বিএনপি নেতা প্রভাষক সারওয়ার জাহানের কাছে বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি জানান, নাসির উদ্দীনের জমি গভীর নলকূপের স্কীম ভুক্ত না। জমি স্কীম ভুক্ত করতে হলে তাকে ২৫ হাজার টাকা দিতে হবে। তাছাড়া কোন শক্তি নেই তার জমিতে পানি দেয়ার। যত বড়ই কর্মকর্তা আসুক টাকা ছাড়া পানি দেয়া যাবে না। অপারেটর আপনার কে? এমন কথা জানতে চাইলে তিনি জানান, আমার স্ত্রী। আপনি তো শহরে থাকেন তাহলে গভীর নলকূপ পরিচালনা করে কে? প্রশ্ন করা হলে উত্তরে বলেন, কীভাবে চলবে সেটা আমার ব্যাপার।
সেখানেই ছিলেন গভীর নলকূপের ড্রাইভার মালেক তার কাছে জানতে চাওয়া হয় গভীর নলকূপের অপারেটর কে, থাকে কোথায়, তিনি জানান প্রভাষক সারওয়ার জাহানের বউ সালমা, তারা শহরে থাকে। আমি নলকূপ দেখভাল করি। কৃষক নাসির উদ্দীন অতীতে এই নলকূপ থেকে পানি নিয়ে কি চাষাবাদ করেছেন, তিনি জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এ নলকূপ থেকে পানি নিয়ে চাষাবাদ করেছে, সে স্কীম ভুক্ত কৃষক। আমাকে পানি দিতে নিষেধ করেছে এজন্য দিইনি।
বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী (অতি) জামিনুর রহমান জানান, অভিযোগ হলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপারেটর শহরে থাকে, কীভাবে নিয়োগ হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, তদন্ত করে প্রমাণিত হলে নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা হবে।