মিষ্টি আলুর আশানুরূপ ফলনে খুশি নাটোরের কৃষকরা

অনলাইন ডেস্ক : জেলায় মিষ্টি আলুর আশানুরূপ ফলন হওয়ায় খুশি আলু চাষিরা। আবাদি জমি থেকে মিষ্টি আলু সংগ্রহ কার্যক্রম প্রায় শেষের পথে। মিষ্টি আলুর আশানুরূপ ফলনের পাশাপাশি বাজারে উচ্চ মূল্য থাকায় লাভবান হচ্ছেন মিষ্টি আলু চাষিরা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা শাখা সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে নাটোরে ৬৯ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ হেক্টর জমি থেকে মিষ্টি আলু সংগ্রহ করা হয়েছে। হেক্টর প্রতি ২৬ দশমিক ৫৯ টন করে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। এই মৌসুমে জেলায় প্রায় ১ হাজার ৯’শ টন মিষ্টি আলু উৎপাদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
জেলার সদর উপজেলার হাজরা এলাকার কৃষক আশরাফ আলী বলেন, ‘মিষ্টি আলুর জমিতে খুব বেশি পরিচর্যার প্রয়োজন হয় না। এটি লাভজনক ফসল। আশা করি বিঘায় অন্তত ৮০ মণ করে ফলন পাবো। ঈদের পরে আলু তুলবো।’
সিংড়া উপজেলার বড় সাঁঐল গ্রামের কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, মিষ্টি আলু চাষ করে বিঘা প্রতি ৭৮ মণ ফলন পেয়েছি। প্রথম দিকে ১৫০০ টাকা মণ দরে বিক্রি করেছি, এখন ১২০০ টাকা।
শহরের নীচাবাজার এলাকার সবজি ব্যবসায়ী কামাল হোসেন জানান, এখন মিষ্টি আলু খুচরা বাজারে কেজি প্রতি ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
গৃহিণী মাসুমা সুলতানা বলেন, অনলাইনে জানতে পেরেছি, ‘পুষ্টিগুণে ভরপুর মিষ্টি আলুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে। এটি ফাইবার ও খনিজ সমৃদ্ধ। এতে প্রচুর পরিমাণে এন্টিঅক্সিডেন্ট ও ক্যানসার প্রতিরোধী উপাদান আছে। তাই মিষ্টি আলু দিয়ে রকমারি খাবার তৈরি করে সন্তানদের মিষ্টি আলু পরিবেশন করি।’
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নাটোর জেলা কার্যালয়ের উপ পরিচালক হাবিবুল ইসলাম খান জানান, চলতি মৌসুমে জেলায় ৬৯ হেক্টরে মিষ্টি আলু আবাদ হয়েছে। গত বছরের চেয়ে আবাদি জমির পরিধি বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলনও আশানুরূপ। আগামীতে মিষ্টি আলুর আবাদি জমির পরিধি বৃদ্ধিতে কাজ করবে কৃষি বিভাগ।
সূত্র: বাসস