ঢাকা | মার্চ ২২, ২০২৫ - ৭:৪১ পূর্বাহ্ন

রাজশাহীর আলোচিত মিম হত্যা মামলার আসামি গ্রেপ্তার

  • আপডেট: Friday, March 21, 2025 - 11:14 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে আলোচিত মিম (২৮) হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি সেলি বেগমকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজশাহী নগরীর এয়ারপোর্ট থানার থালতা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর মোল্লাপাড়া ক্যাম্পের পক্ষ থেকে গতকাল শুক্রবার সকালে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানানো হয়। সেলি বেগম রাজশাহী নগরীর শেখেরচক বিহারীবাগান এলাকার মৃত আশরাফুল ইসলামের স্ত্রী। তিনি এই মামলার ২ নম্বর আসামি, আর ১ নম্বর আসামি রুবেল তার বোনের ছেলে।

মিম রাজশাহী নগরীর রামচন্দ্রপুর মহল্লার দিনমজুর ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মৃত হারান শেখের নাতি। তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত পরিবারের সদস্য হলেও কোনো রাজনৈতিক পদে ছিলেন না।

তবে নগর যুবলীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক রাজিব মতিনের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে থাকতেন এবং তার কাজ করতেন। গত বছরের ২৬ অক্টোবর মিম আত্মগোপনে থেকে এলাকায় ফেরার দিন হত্যার শিকার হন।

সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, ৮-১০ জন যুবক তাকে ধাওয়া করে ধরে ফেলেন এবং হাত ধরে টেনে নিয়ে যান। পরে পঞ্চবটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে তাকে হাতুড়িপেটা করা হয়। মিমের মা কেয়া বেগম ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েও ছেলেকে উদ্ধার করতে পারেননি। পুলিশকে জানিয়েও কোনো সাড়া পাননি। একপর্যায়ে মিমের পায়ের রগ কেটে দেয়া হয় এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় মিমের মা কেয়া বেগম বাদী হয়ে স্থানীয় যুবদল কর্মী রুবেলসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করে বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন। পুলিশ রুবেল, রুহুল, জাহিদ ও রজব নামে চারজনকে গ্রেপ্তার করলেও বাকি ৯ আসামিকে ধরতে কোনো তৎপরতা দেখায়নি। অবশেষে র‌্যাব ২ নম্বর আসামি সেলি বেগমকে গ্রেপ্তার করল।

কেয়া বেগম জানান, তার ছেলেকে নির্যাতনের সময় সেলি বেগমও সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং মারধরে অংশ নেন। মামলার অন্য আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার চার আসামি উচ্চ আদালত থেকে জামিন পেয়ে বেরিয়েছেন, আর পুলিশ অন্যদের গ্রেপ্তারই করেনি। জামিনে বের হওয়া আসামিরা এখন আমার আত্মীয়দের ফোন করে হুমকি দিচ্ছে। তারা বলছে, ঈদের পর এলাকায় ঢুকে মীমাংসা করতে বলবে, না হলে ভালো হবে না। আমি বলেছি, আমার ছেলেকে ফিরিয়ে দিক, তবেই মীমাংসা করব। নইলে কিসের মীমাংসা?’