ঢাকা | মার্চ ২১, ২০২৫ - ৩:৪৩ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে ৯১৬ চাল মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ

  • আপডেট: Friday, March 21, 2025 - 1:00 am

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহী বিভাগে চাল না দেয়া ও চুক্তি যোগ্য হয়েও চাল সংগ্রহে চুক্তি না করায় ৯১৩টি মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করেছে খাদ্য বিভাগ।

রাজশাহী আঞ্চলিক খাদ্য বিভাগ থেকে চাল সংগ্রহ শেষে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে এ সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। রাজশাহী খাদ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ে সহকারী উপ-পরিচালক ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রাজশাহী খাদ্য অফিসের তথ্য মতে, রাজশাহী বিভাগে আমন সংগ্রহ ২০২৪-২৫ মৌসুমে সিদ্ধ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার ২৬৩ টন। তবে সংগ্রহ হয়েছে ৯৪ হাজার ৭০৭ দশমিক শূন্য ৯০ টন। যা লক্ষ্যমাত্রার ৮৯ ভাগ। আর আতপ চালের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২১ হাজার ৮৯১ টন। তবে সংগ্রাহ হয়েছে ১৯ হাজার ৫২৯ টন।

যা মোট সংগ্রহের ৯১ ভাগ। খাদ্য বিভাগের সুপারিশ দেখা গেছে, রাজশাহী বিভাগে চাল না দেয়া ও চুক্তি যোগ্য হয়েও চাল সংগ্রহে চুক্তি না করায় ৯১৩টি মিলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সুপারিশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে চুক্তিযোগ্য ছিল কিন্তু তা করেনি এমন মিলের সংখ্যা ৭৫১টি। এরমধ্যে আটো রাইস মিল ৪৫ ও হাস্কিং মিল ৭০৬টি।

এছাড়াও চুক্তি করেও চাল দেয়নি এমন মিলের সংখ্যা ১৬২টি। এদের মধ্যে ৮০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন মিলের সংখ্যা ৩০টি। ৫০ ভাগ চাল দিয়েছে এমন মিলের সংখ্যা ৭১টি। চুক্তিবদ্ধ হয়েও কোনো চাল দেয়নি এমন মিলের সংখ্যা ৬১টি।

এদিকে সিদ্ধ চালের চুক্তির বিপরীতে ৮০ শতাংশ চাল দিয়েছে এমন মিলের মধ্যে নাটোর জেলাতে আছে ২টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২টি, পাবনায় ৩টি, সিরাজগঞ্জে ২টি, বগুড়ায় ১৫ ও জায়পুরহাটে একটি।

আর আতব চাল দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ৪টি ও সিরাজগঞ্জের একটি মিল। সিদ্ধ চাল চুক্তি করে ৫০ শতংশ চাল দিয়েছে এমন মিলের সংখ্যা আছে রাজশাহী জেলাতে ২টি, নাটোরে ১টি, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ২টি, পাবনায় ৫টি, একটি সিরাজগঞ্জে, বগুড়ায় ৪৭টি ও জয়পুরহাটে ৩টি। আতব চাল দিয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৯টি ও বগুড়ায় একটি মিল।

রাজশাহী খাদ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ে সহকারী উপপরিচালক ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, রাজশাহী বিভাগের যেসব মিল চাল দেয়নি বা চুক্তিযোগ্য ছিল কিন্তু চুক্তি করেনি এমন মিল সংখ্যার একটি তালিকা আমরা করেছি। রাজশাহী বিভাগের মোট ৯১৩টি মিলে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ আমরা মন্ত্রণালয়ে করেছি।

তাদের বিরুদ্ধে এখন মন্ত্রণালয় কী ব্যবস্থা নেবেন সেটি তারা ঠিক করবেন। তিনি বলেন, এবার যারা ৫০ শতাংশ চাল দিয়েছে ও ৮০ শাতংশ চাল দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে জামানতকৃত অর্থের টাকা থেকে টাকা জরিমানা করার সুপারিশ করেছি। পাশাপাশি যারা কোনো ধরনের চালই দেননি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছি।

এখন মন্ত্রণালয় তাদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেবে সেটি মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার। তবে যেই ব্যবস্থা নেয়া হবে আমরা সেটাই বাস্তবায়ন করব।