ঢাকা | মার্চ ২২, ২০২৫ - ১০:২১ অপরাহ্ন

চলতি মৌসুমের সমাপ্তি নর্থ বেঙ্গল চিনিকলে এবার ১১ হাজার টন চিনি উৎপন্ন

  • আপডেট: Friday, March 21, 2025 - 10:29 pm

লালপুর (নাটোর) প্রতিনিধি: নাটোরের লালপুরে নর্থ বেঙ্গল সুগার মিলসের ৯২তম আখমাড়াই মৌসুম শেষ হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে মিল চত্বরে এক দোয়া ও মাহফিলের মাধ্যমে চলতি মৌসুমের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। মিলের ব্যবস্থাপক (উৎপাদন)  শাফীকুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এবার মিলটি ১২৬ কর্মদিবসে মোট ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৪১ টন আখমাড়াই করেছে। চিনি উৎপাদন হয়েছে ১১ হাজার ৩৫০ টন।

এ বছর মিলটি গত মৌসুমের চেয়ে ৮ হাজার টন বেশি আখমাড়াই করলেও চিনি উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩ হাজার ৬৫০ টন কম করেছে।

চিনিকল সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ২ লাখ টন আখমাড়াই করে ১৫ হাজার টন চিনি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। ২০২৪ সালের ১৫ নভেম্বর মাড়াই মৌসুমের উদ্বোধন করেছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

চিনিকলের মহাব্যবস্থাপক (কৃষি)  আসহাব উদ্দিন বলেন, চলতি মৌসুমে এই মিলে মাড়াইয়ের জন্য ১৭ হাজার ৫০০ একর জমিতে আখ রোপণ করা হয়েছিল। এর মধ্যে মিলের নিজস্ব জমি ২ হাজার ৫০০ একর। কৃষকদের কাছ থেকে কেনার জন্য প্রতি মণ আখের মূল্য মিল গেটে ২৪০ টাকা ও মিলের ৩১টি ক্রয়কেন্দ্রে ২৩৭ টাকা দেয়া হয়। আগামী ২০২৫-২৬ মৌসুমে ১৮ হাজার একর জমিতে আখ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা সফল করতে ৫ হাজার ৬০০ আখচাষির মধ্যে বীজ ও প্রায় ১২ কোটি টাকার সার বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে কথা হলে মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ ফরিদ হোসেন ভূঁইয়া টুটুল বলেন, এই মিল জোনে যে পরিমাণ আখ উৎপাদন হয়, তাতে মিলের আখমাড়াই ক্ষমতা বাড়ানো দরকার। দৈনিক ক্ষমতা ৩ হাজার টনে উন্নীত করা সম্ভব হলে মৌসুমে ৩ লাখ টন মাড়াই করা সম্ভব হবে। এতে চাষিরা ধৈর্যহারা হবেন না। চিনির উৎপাদন বাড়বে ও বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এবার আখ থেকে চিনি আহরণের হার ৭ দশমিক ৫ শতাংশ নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত হয়েছে ৫ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ

ই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন না হওয়া প্রসঙ্গে এমডি জানান, চিনি আহরণের বিষয়টি প্রকৃতিগতভাবে আখের ওপর নির্ভরশীল। এ ছাড়া দীর্ঘ ৯১ বছরের পুরোনো এই মিলের আধুনিকায়ন করা গেলে উৎপাদন প্রক্রিয়ার ঘাটতি (প্রসেস লস) কমে যাবে এবং চিনি আহরণের মাত্রা বাড়বে।