ঢাকা | মার্চ ২১, ২০২৫ - ৩:৩৩ অপরাহ্ন

ইফতার সুস্বাদু গ্রিল চিকেন রোজাদারদের পছন্দের

  • আপডেট: Friday, March 21, 2025 - 1:11 am

কবীর তুহিন: গ্রিল চিকেন ভালোবাসেন না এমন মানুষ এখন খুঁজে পাওয়াই দায়। তাই অন্য সময় ছাড়াও ইফতারেও জুড়ি নেই সুস্বাদু গ্রিল চিকেনের।

ছোট-বড় সবার মুখরোচক খাবার এই গ্রীল চিকেন। ইফতারের সময় ঘনিয়ে আসলেই রাজশাহী শহরের বড় বড় রেঁস্তোরার বাইরে ভেসে বেড়ায় মুরগির কাবাবের সুবাস।

গ্রিল চিকেনের সাথে অনেকে আবার নেন নান রুটি বা বাটার নান রুটি। কাচের ভেতরে গ্রিল চিকেনগুলো রসনাতৃপ্তির জন্য আগুনের ওপর সমানতালে ঘুরে চলেছে। কাবাব হতে থাকা মুরগিগুলো দেখলে লোভ সামলানোই দায়। আদিকাল থেকেই বাঙালির খাবার প্রীতি একটু বেশিই। বলা চলে খাবারের ব্যাপারে অনেকটা সৌখিনও তারা।

নিত্য নতুন স্বাদ আর পদের অনেক খাবারকেও ভিন্ন মাত্রা দিয়ে নিজেদের সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়ে নেওয়া হয়েছে। সেসব খাবারের নাম তাই বলেও শেষ করা যাবে না। এজন্য রমজান মাস এলেই ইফতারে এসব খাবারের কদর বহুগুণ বেড়ে যায়।

এমন খাবারের তালিকায় এখনও শীর্ষে রয়েছে ‘গ্রিল চিকেন’। সাধারণত রেস্তোরাঁয় গিয়েই পছন্দের তালিকা থেকে ওর্ডার করা প্রথম সুস্বাদু মুখরোচক খাবার এটি। এক সময় মধ্যপ্রাচ্যে বেশি প্রচলিত ছিল। কয়েক বছর থেকে দেশিয় খাবার সংস্কৃতিতে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে মুরগি দিয়ে তৈরি করা বিশেষ এই খাবারটি।

প্রসেস করা আস্ত মুরগি একটি বিশেষ মেশিনের মাধ্যমে অধিক সময় ধরে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে ঝলসানো হয়। এই খাবারটি অধিক আর্কষণীয় হওয়ায় ইফতারে অন্য আইটেমের চেয়ে গ্রিল চিকেন বেশি চলে।

রাজশাহীর অভিজাত রেঁস্তোরা চিলিস, মিটলফ, রহমান’স বারবিকিউ, বিশাল, নিউ বিদ্যুৎ হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট, রহমানিয়া, রহমানিয়া-প্লাস সহ বিভিন্ন ¯’ানে বিশেষভাবে উপ¯’াপন করছে মুরগি দিয়ে তৈরি করা এই খাবারটি।

ক্রেতারা বলেন, গ্রিল চিকেন তৈরি করার পুরো প্রক্রিয়াটিই চলে ক্রেতাদের চোখের সামনেই। মূলত খাবারটির প্রতি ক্রেতাদের আকর্ষণ ও খাওয়ার জন্য চাহিদা তৈরি করাই এর লক্ষ্য। এছাড়া এ প্রক্রিয়াটিতে খাবারটি নিয়ে ক্রেতাদের মনেও সন্দেহ বা আশঙ্কা কম থাকে। আমাদের মত অনেক পরিবারের সদস্যরা রমজান মাসে এই গ্রীল একবার হলেও ইফতারের টেবিলে পরিবেশন করেন।

নিউ বিদ্যুৎ এর লিয়াকত জানান, প্রতিদিন ইফতারীতে ১শ টির মত গ্রীল বিক্রয় হয়। ফুল গ্রীলের মূল্য ৫২০ ও হাফ ২৬০ টাকা। এছাড়াও সিঙ্গেল গ্রীলের মূল্য ১৩০ টাকা। অনেক রোজাদার গ্রীলের সাথে বিভিন্ন ধরণের রুটি পছন্দ করেন। সাধারণ নান রুটি ১৫ থেকে ২৫ টাকা এবং বাটার নান রুটি ২৫ থেকে ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রয় করা হয়।

গ্রীল ছাড়াও নগরীর এই আভিজাত রেঁস্তোরাগুলোতে বিভিন্ন ধরণের গোস্তের তৈরি খাবারও রোজাদারদের অনেক প্রিয়। গোস্তের তৈরি খাবারগুলোর মধ্যে চিকেন চাপ এক কোয়াটার ১৩০, খাসির কাবাব ৭৫ টাকা, চিকেন কাবাব ৬৫ টাকা মূল্যে বিক্রয় হচ্ছে রেস্তোরাঁগুলোতে।

মহানগরীর সাহেব বাজারে ইফতার কিনতে আসা জাহিদুল ইসলাম রুসেল নামের এক ক্রেতা বলেন, মধ্য রমজান চলছে। এরই মধ্যে অনেকগুলো রোজা চলে গেছে। শেষ সময়ে পরিবারের সদস্যদের ইফতারের স্বাদের ভিন্নতা দিতে এই গ্রিল চিকেন কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাড়ির প্রতিটি সদস্যরই পছন্দের খাবার এটি জানান রুসেল।