ঢাকা | মার্চ ২১, ২০২৫ - ২:২১ অপরাহ্ন

অনিরাপদ পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার: স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কৃষকরা

  • আপডেট: Thursday, March 20, 2025 - 11:15 pm

চারঘাট প্রতিনিধি: রাজশাহীর চারঘাটে নিরাপদ পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার না করায় স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে কৃষকরা। চারঘাটে মোট আবাদি জমির পরিমাণ ৩১ হাজার ৫৯১ হেক্টর। প্রায় ৪১ হাজার কৃষক কৃষিকাজে যুক্ত। রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে বিভিন্ন ধরনের কীটনাশক প্রয়োগ করে থাকেন কৃষকেরা।

কিন্তু নিরাপদ পদ্ধতিতে কীটনাশক ব্যবহার না করায় স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েছেন তাঁরা। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন, নিরাপদ পদ্ধতি ছাড়া কীটনাশক ব্যবহার চরম বিপজ্জনক এবং এতে রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। তবে নিরাপদ ও সঠিক পদ্ধতিতে কীটনাশক প্রয়োগের ক্ষেত্রে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে কোনো প্রশিক্ষণ কিংবা প্রচার নেই।

উপজেলার কৃষকরা বলেন, দীর্ঘদিন থেকে চারা রোপণের পর এ সময়টা বিভিন্ন ধরনের রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। রোগ-বালাই ও পোকার আক্রমণ থেকে ফসল রক্ষা করতে জমিতে কীটনাশক (বিষ) প্রয়োগ করা হয়। নিরাপত্তা বা এ ব্যাপারে কতটুকু সচেতন প্রশ্ন করা হলে তারা বলেন, কীটনাশক ছিটানোর সঠিক কোনো পদ্ধতি আমার জানা নেই বা কেউ পরামর্শও দেয়নি। কীটনাশক ছিটানোর সময় খুবই দুর্গন্ধ হয়। ছিটানোর পর প্রচণ্ড মাথা ঘোরে, মাঝে মধ্যে বিভিন্ন ধরনের অসুবিধাও দেখা দেয়। স্থানীয় পল্লি চিকিৎসকের পরামর্শ ও চিকিৎসা নিয়ে থাকি।

কীটনাশকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার তৌফিক রেজা বলেন, জমিতে যেকোন ফসল রক্ষার জন্য বিষ প্রয়োগের সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে হাতে হ্যান্ড গ্লোবস এবং ম্যাক্স ব্যবহার করা বাধ্যতা মূলক প্রয়োজন। কারণ এই বিষ নাক দিয়ে শরীরের ভেতর প্রবেশ করে ক্যান্সারের মত কঠিন ব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে তাই জমিতে বিষ ব্যবহারের সময় স্বাস্থ্য বিধি মেনে ম্যাক্স ও হ্যান্ড গ্লোবস ব্যবহার করা জরুরি বলে তিনি জানান।

এ বিষয়ে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মামুন হাসান বলেন, জমিতে বিষ ব্যবহারের ব্যাপারে কৃষকদের প্রশিক্ষণের সময় সচেতনতা মূলক ভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়। তিনি বলেন, অসাবধানতার বসত ৭০ শতাংশ কৃষক ক্যান্সারের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে তিনি জানান।