ঢাকা | মার্চ ২২, ২০২৫ - ১১:৪৫ অপরাহ্ন

প্রকাশ্যে আসামিরা, তবুও খুঁজে পাচ্ছে না পুলিশ

  • আপডেট: Wednesday, March 19, 2025 - 10:37 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে বিএনপির দুগ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহত রিকশাচালক গোলাম হোসেন (৪৮) হত্যা মামলার আসামিরা অনেকটা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কেউ বন্ধুর জন্মদিনে কেক কাটছেন, ফেসবুকে ছবিও দিচ্ছেন; কিন্তু পুলিশ তাদের খুঁজে পাচ্ছে না। মামলার সপ্তাহ হতে চললেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। বিচার পাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে নিহত রিকশাচালক গোলাম হোসেনের পরিবার। এদের ভয়ে আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন-রাত।

রিকশাচালক গোলাম হোসেন খুনের আসামিরা হলেন- নগরীর শাহ মখদুম থানা বিএনপির আহ্বায়ক সুমন সরদার, চন্দ্রিমা থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফাইজুর হক ফাহি, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, রাজশাহী মহানগর মহিলাদলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক লাভলী খাতুনের স্বামী সোহেল রানা, লাভলীর ভাই নাঈম এবং যুবদল কর্মী রনি।

গত ৬ মার্চ নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান ও তার ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়াকে কেন্দ্র করে পরদিন সন্ধ্যায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। দড়িখড়বোনা ও আশপাশের এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে, গুলি ফোটে। পুড়িয়ে দেয়া হয় তিনটি মোটরসাইকেলও।

ওই রাতে মহাজনের রিকশা জমা করে রণক্ষেত্রের ভেতর দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন গোলাম হোসেন। তখনই একপক্ষ আরেকপক্ষের লোক ভেবে রিকশাচালক গোলামকে ছুরিকাঘাত করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১১ মার্চ রাতে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় ১৩ মার্চ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১৫-১৬ জনকে আসামি করে নগরীর বোয়ালিয়া থানা মামলা করেন গোলাম হোসেনের স্ত্রী পরীবানু বেগম।

রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সাবিনা ইয়াসমিন বলেন, মামলা করার পর বাদীর আর কিছু করার নেই। এখন আসামি গ্রেপ্তারে পুলিশেরই দায়িত্ব বোধ আছে।

তিনি বলেন, যদি আসামিরা এলাকাতেই থাকে এবং গ্রেপ্তার না হয়, তাহলে আমি থানা-পুলিশকে বলে দেব তৎপর হওয়ার জন্য। সাধারণ মানুষও কিন্তু এলাকায় তাদের দেখলে আমাদের তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারেন। পুলিশকে সহায়তা করা নাগরিকদেরও দায়িত্ব।