ঢাকা | মার্চ ২১, ২০২৫ - ৫:৪৮ পূর্বাহ্ন

দুর্গাপুরে স্কুল শিক্ষককের বিরুদ্ধে মারপিটের অভিযোগ

  • আপডেট: Wednesday, March 19, 2025 - 11:28 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষককের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে কফিল উদ্দিনের ছেলে বাচ্চু মিয়া ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে বরখাস্তের আবেদন হয়েছে।

আবেদন থেকে জানা গেছে, দূর্গাপুর উপজেলার পুরান তাহিরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হায়দার আলী এলাকার স্থানীয় ব্যক্তি হওয়ায় গ্রামে নিজের প্রভাব সৃষ্টি করে। তিনি মানুষের সাথে ফেতনা ফ্যাসাদ, মারামারিসহ বেআইনি কাজে জড়িত থাকে। তার সঙ্গবদ্ধ বেআইনি নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা-হামলা লেগেই থাকে। তিনি মূলত ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সরকারের অন্ধ সমর্থক। তার আচার-আচরণে গ্রামের মানুষ ত্যক্ত-বিরক্ত। গ্রামের শান্তি শৃঙ্খলা ভঙ্গে এমন কোন কাজ নাই যা তিনি করেন না।

ঘটনার ধারাবাহিকতায় আবুল কালাম আজাদ একটি মোটর সাইকেলসহ ৮০ হাজার টাকা মহাজনকে দেওয়ার জন্য তার ভাগিনা আশিকুর রহমানকে মোহনগঞ্জ ডাচ বাংলা ব্যাংকের পাঠায়। পথিমধ্যে হায়দার মাস্টারের নেতৃত্বে পুরান তাহিরপুর কাবিলের বাড়ির নিকট মোটরসাইকেল এর গতিরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তাকে বেধড়ক মারপিট করে। পাশাপাশি ৮০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করে।

এই ঘটনার বিষয়ে গত ২০২৪ সালের ২৮ আগস্ট দূর্গাপুর থানায় মামলা হয়। মামলাটি বর্তমানে সংশ্লিষ্ট আদালতে বিচারাধীন। এরপরে তিনি আবারও নিজে উপস্থিত থেকে হুকুম দিয়া এলাকায় মারপিটের ঘটনা ঘটালে থানায় গত চলতি বছরের ১০ জানুয়ারী ফৌজদারি মামলা করা হয়।

তিনি এখন জামিনে আছেন। সরকারী চাকুরী বিধি মোতাবেক যদি কোন সরকারি কর্মকর্তা বা কর্মচারীর নামে ফৌজদারি মামলা হয় এবং তিনি সংশ্লিষ্ট আদালতে হাজির হইয়া জামিন প্রার্থনা করিয়া জামিনে মুক্ত থাকেন, তবে তিনি সরকারী চাকুরী বিধি মোতাবেক মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত অর্ধ বেতনে সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় থাকবেন। তাকে কোনটাই করা হয়নি। এতে তিনি আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন।

এলাকার মানুষের মধ্যে তাকে ঘিরে আতংক বিরাজ করছে। এহেন পরিস্থিতিতে এলাকার সাধারণ মানুষের শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় শিক্ষক হায়দার আলীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে গতকাল বুধবার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে অভিয়োগ করেছেন বাচ্চু মিয়া।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম আনোয়ার হোসের বলেন, অভিযোগের কাগজ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।