ঢাকা | মার্চ ১৮, ২০২৫ - ৬:২৬ পূর্বাহ্ন

ফুটপাতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা

  • আপডেট: Tuesday, March 18, 2025 - 1:09 am

সুমন শেখ: রাজশাহী নগরীতে জমে উঠেছে ঈদের কেনাকাটা। শহরের বিপণীবিতান ছাড়াও ফুটপাতের দোকানে মানুষের ভিড় বাড়ছে। যে যার মতো করে সারছেন কেনাকাটা।

এদিকে নগরীর গণকপাড়া, সাহেববাজার, গোরহাঙ্গা রেলগেট, সিরোইল বাস স্ট্যান্ড, কোর্টবাজার, লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন এলাকার ফুটপাতে ঈদের জমজমাট ব্যবসা চলছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতারা পছন্দের পোশাক কিনছেন। অনেকে পোশাক না কিনে দেখতেও আসছেন। দামাদামি করে ফিরে যেতেও দেখা গেছে অনেককে।

তবে এক দামে অনেক দোকানগুলোতে জমজমাট বেচাকেনা চলছে। নগরীর ফুটপাত থেকে পছন্দের জামা-কাপড় কেনার সময় এক নারী ক্রেতা জানান, তিনি মহানগরীর বুধপাড়া এলাকার বাসিন্দা। স্বামী কৃষিকাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। পরিবারে রয়েছে ছোট্ট তিন ছেলে-মেয়ে। প্রতিবছর কম টাকার মধ্যে পরিবারের ঈদের কেনাকাটা করেন।

বাজেটের মধ্যে যা কিনেন, তাতেই পরিবারের সবাই খুশি হন।

এসময় কথা হয় আরেকজন ক্রেতার সঙ্গে। তিনি ফুটপাত থেকে বাচ্চার জন্য জামা কিনছিলেন। আমার স্বামী মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষ। একটি কোম্পানিতে চাকরি করে চার সদস্যের ভরণপোষণ করেন। রমজান মাসে সংসারের খরচ বেড়েছে।

তবুও নিজের জন্য কিছু না কিনলেও ছোট্ট বাচ্চারাতো মানবে না। তাই সাধ্যের মধ্যে কেনাকাটা করতে ফুটপাতে এসেছি। এখানে পোশাকের দামও অনেক কম।

বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এখানে যারা ঈদের কেনাকাটা করতে আসেন, তারা সকলেই স্বল্প আয়ের সাধারণ মানুষ। তাদের সামর্থ অনুযায়ী পোশাক কিনে তারা বাসায় ফিরছেন।

অনেক দিন মজুর বা শ্রমিক তাদের প্রতিদিনের শ্রমের টাকাগুলো থেকে পরিবারের সদস্যদের জন্য ঈদের পোশাক নিয়ে যায়। আমাদের দোকানে ২শ টাকা থেকে শুরু করে ৫শ টাকার পোশাক পাওয়া যায়।

কারণ আমরা জানি, ফুটপাতে যারা ঈদের কেনাকাটা করতে আসে তারা সকলেই নিম্নে আয়ের মানুষ। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, প্রথম রোজা থেকে ব্যবসা ভালো না হলেও দশ রোজার পর থেকে ফুটপাতে ঈদের কেনাকাটা জমতে শুরু করেছে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে বিক্রি আরও জমজমাট হয়ে উঠবে।

ক্রেতারা আরও বলেন, গত বছরের চেয়ে প্রায় সবধরনের পোশাকের দাম বেশি রাখছে ব্যবসায়ীরা। এতে আমাদের কিছু করার নেই। পরিবারের সবার জন্য যেটুকু কিনতে পারছি সেটা নিয়ে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে। সরজমিনে দেখা যায়, ক্রেতারা ফুটপাতে বাচ্চাদের পোশাক বেশি কিনছে।

তাছাড়াও বড়দের গেঞ্জি, জিন্সের প্যান্ট, মেয়েদের থ্রি পিস, পায়জামা-পাঞ্জাবি, শাড়িসহ বিভিন্ন পোশাক রয়েছে ফুটপাতের এই দোকানগুলোতে।

দাম বেশি রাখার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে একজন ফুটপাত ব্যবসায়ী জানান, গত বছরের চেয়ে পাইকারিভাবে আমরা কিছুটা বাড়তি দামে কিনে এনেছি। তাই ক্রেতা পর্যায়ে দামে কিছুটা প্রভাব পড়েছে।