ঢাকা | মার্চ ১৮, ২০২৫ - ৪:৪৪ পূর্বাহ্ন

পুকুর খননে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না: পুঠিয়ার ইউএনও

  • আপডেট: Tuesday, March 18, 2025 - 12:39 am

পুঠিয়া প্রতিনিধি: রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলায় জমির প্রকৃতি পরিবর্তন ও আইনের বিধি-নিষেধ না মেনেই তিন ফসলি জমি পুকুরে রূপান্তরিত করছে। প্রশাসন কোনভাবেই তা বন্ধ করতে পারছে না।

অবশেষে, পুকুর খনন রোধে কঠোর হচ্ছে পুঠিয়া উপজেলা প্রশাসন। এবার জমির মালিকদের বিরুদ্ধে শ্রেণি পরিবর্তনের দায়ে নিয়মিত মামলা, জেল-জরিমানাসহ এক্সক্যাভেটর মেশিন জব্দের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে।

এমন সিদ্ধান্তকে এলাকার সাধারণ কৃষকরা স্বাগত জানিয়েছে। উপজেলার পুকুর খননের জন্য বিখ্যাত শিলমাড়িয়া, জিউপাড়া, ভাল্লুকগাছিসহ অন্যান্য ইউনিয়নগুলোতে তিন ফসলে জমি প্রায় অর্ধেকেরও নিচে কমে এসেছে।

পুকুর খনন বন্ধের জন্য উপজেলা প্রশাসন প্রতি সপ্তাহেই একাধিকবার ভ্রাম্যমাণ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় বেশিরভাগই পুকুর মালিকগণ বা খননকারীরা পালিয়ে যায় এবং সেখান থেকে শুধু ব্যাটারি ছাড়া আর কিছু জব্দ করে নিয়ে আসা হয় সম্ভব হয় না।

এ ব্যাপারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ বসাক বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করার সময় পুকুরে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায় না। সেই ক্ষেত্রে আমরা তাদের এক্সক্যাভেটর ব্যাটারি জব্দ করে চলে আসতে হয়। পরে আবার তারা ব্যাটারি কিনে রাতের বেলায় পুণরায় পুকুর খনন শুরু করে।

তাই এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি শুধু পুকুর খননকারীকেই না, যারা তিন ফসলের জমিকে আইনের নির্দেশ অমান্য করে পুকুর খনন করছে তাদের বিরুদ্ধেও মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মামলা করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আমরা চেষ্টা করি পুঠিয়াতে কোন প্রকার অবৈধভাবে পুকুর খনন যাতে না হয়। সে দিকটা সর্বক্ষণই কি খেয়াল রাখার। অবৈধ পুকুর খনন বন্ধের জন্য যে সকল আইনি কাজ করার দরকার আমরা এখন সে সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করব।