ঢাকা | মার্চ ১৬, ২০২৫ - ৪:১৭ পূর্বাহ্ন

দখল হয়ে যাচ্ছে ৬৮ বছর আগে কেনা জমি

  • আপডেট: Saturday, March 15, 2025 - 10:25 pm

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে এক ব্যক্তির ৬৮ বছর আগে কেনা জমি দখল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আদালতে মামলা নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল ওই জমিতে ইট-বালু ফেলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছেন। ভুক্তভোগী ব্যক্তিকে দেয়া হচ্ছে হুমকিও।

ভুক্তভোগী ব্যক্তির নাম লুৎফর রহমান। রাজশাহীর চন্দ্রিমা থানার হাট গোদাগাড়ী এলাকার বাসিন্দা তিনি। তার ৩৩ কাঠার ওই জমিটি রাজশাহী নগরের বড়বনগ্রাম এলাকার নর্দান হাউজিংয়ে। এলাকার একটি ভূমিদস্যু চক্র তার জমি দখলের চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করছেন।

এ ব্যাপারে লুৎফর রহমানের ছেলে উজ্জ্বল হোসেন শনিবার নগরীর শাহমখদুম থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। ফজলুল কাদের চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধরী, শফিকুল আওয়াল খান ও তৌফিক নামের  ব্যক্তি জমিটি দখলের চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।

অভিযোগ মতে, নগরীর পবা নতুনপাড়া এলাকার বাসিন্দা রহিম উদ্দিন ও তার পরিবারের সদস্যরা ১৯৫৭ ও ১৯৫৮ সালে লুৎফর রহমানের কাছে দুটি দলিলে ৫৫ শতক বা প্রায় ৩৩ কাঠা জমি বিক্রি করেন। কিন্তু ১৯৭২ সালের আরএস জরিপে ওই জমির রেকর্ড হয়ে যায় আগের মালিক রহিম উদ্দিনের নামেই। পরবর্তীতে রহিম উদ্দিন আগেই বিক্রি করা জমি পুণরায় বিক্রি করেন মিনাউল হক নামের এক ব্যক্তির কাছে। এ নিয়ে মামলা-মোকদ্দমা চলছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, এরই মধ্যে মিনাউল হকের জাল দলিল করে জমির ক্রেতা সেজেছেন ফজলুল কাদের চৌধুরী ও জসিম উদ্দিন চৌধরী। তাদের কাছ থেকে মৌখিক বায়না করার কথা বলে জমিতে ইট-বালু ফেলে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করছেন মো. তৌফিক।

লুৎফর রহমানের ছেলে আইনজীবী উজ্জ্বল হোসেন জানান, মিনাউল হকের কাছে দ্বিতীয় দফায় জমি বিক্রি এবং তার দলিলের মাধ্যমে ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী জমির মালিকানা দাবি করলে তিনি গতবছর রাজশাহীর সদর সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর- ১৮২/২০২৪।

এই মামলা চলমান অবস্থায় ফজলুল কাদের চৌধুরী ও তার ভাই জসিম উদ্দিন চৌধুরী তৌফিক নামের এক ব্যক্তির কাছে জমি বিক্রির বায়না দেখিয়ে প্রাচীর দিচ্ছেন। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনের সহায়তা চান।

জমির ক্রেতা মো. তৌফিক বলেন, তিনি আগে জানতেন না যে এই জমি নিয়ে মামলা চলমান আছে। বায়না করার পরে এটা জেনেছেন। এখন যার কাছ থেকে তিনি জমি কিনছেন, তিনিই জমির সীমানা প্রাচীর তাকে দিয়ে দিচ্ছেন। এখানে কোনো জমি দখল করা হচ্ছে না।

মামলা চলমান অবস্থায় জমি বিক্রির বিষয়ে জানতে চাইলে ফজলুল কাদের চৌধুরী বলেন, ‘এই জমি আমারই। যারা মামলা করছেন, তাদের কোনো মালিকানা নেই। আমার জমি আমি বিক্রি করছি।’

শাহমখদুম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুমা মোস্তারি বলেন, ‘জমি দখল করার বিষয়ে আইনজীবী উজ্জ্বল হোসেন থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’