ঢাকা | মার্চ ১৬, ২০২৫ - ৩:৪৩ পূর্বাহ্ন

ঈদকে সামনে রেখে কর্মমুখর তাঁতপল্লী

  • আপডেট: Saturday, March 15, 2025 - 10:22 pm

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের ব্যান্ড তাঁতপল্লী কর্ম মুখর হয়ে উঠেছে। চাহিদা অনুযায়ী শাড়ি-লুঙ্গি, থ্রি-পিছ তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁত মালিক ও শ্রমিকরা।

এখানকার তৈরি শাড়ি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে। অভিযোগ রয়েছে, প্রতিবছর রং-সুতাসহ উপকরণের দাম বাড়লেও কাপড়ের দাম কম থাকায় লোকসান গুণতে হয় তাঁতীদের। তবে এ বছর ভারতীয় শাড়ি দেশে প্রবেশ না করায় চাহিদা বাড়ছে বলেও জানিয়েছেন তাঁতীরা।

সিরাজগঞ্জ সদর, বেলকুচি, এনায়েতপুর, চৌহালী শাহজাদপুর, কাজিপুর ও উল্লাপাড়ার তাঁত কারখানাগুলো খটখট শব্দে মুখরিত।

ঈদকে ঘিরে বাড়তি আয়ের আশায় তাঁত কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের কর্ম ব্যস্ততা বেড়ে গেছে আগের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি। তাঁত পল্লীগুলোতে নারী-পুরুষরা কেউবা সুতা প্রসেস করছে, কেউবা সুতা রং করছে, নাটাই গুড়িয়ে সুতা কাটছে, নলিতে সুতা ভরছে আবার কেউবা কাপড় ছেটে কাপড় গুছিয়ে রাখছে।

দিনরাত পরিশ্রম করে তৈরি করছে নানা ডিজাইন শাড়ি, লুঙ্গি ও থ্রিপিচ। আর এখানকার উৎপাদিত কাপড় দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি হয় দেশের বাইরে।

বেলকুচি পাওয়ারলুম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আলহাজ এম.এ বাকী বলেন, জেলার প্রায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ তাঁত শিল্পের সাথে জড়িত থাকলেও তাঁত শিল্পের প্রতি সরকারের তেমন সুনজর নেই।

প্রতি বছর রং ও সুতাসহ সকল উপকরণের দাম সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো বাড়ালেও বাড়ছে না কাপড়ের দাম। এ অবস্থায় তাঁত শিল্প টিকিয়ে রাখতে রং-সুতাসহ সকল উপকরণের দাম কমিয়ে সরকার কর্তৃক দাম নির্ধারণ, শ্রমিক সঙ্কট নিরসন ও ভুর্তুকিসহ স্বল্পসুদে ঋণ দেয়ার দাবি জানিয়েছে তাঁতীরা।

সিরাজগঞ্জের তাঁত শিল্প রক্ষায় বাইরের দেশ থেকে অবৈধভাবে শাড়ি আসা বন্ধ এবং রং-সুতা সহজলভ্য করতে না পারলে এ শিল্প ধ্বংস হয়ে যাবে বলে জানান এই ব্যবসায়ী নেতা।

বাংলাদেশ তাঁতবোর্ড সিরাজগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত লিয়াজো অফিসার ইমরানুল হক বলেন, রং-সুতার ব্যবসায়ীরা ইচ্ছেমতো রং সুতার দাম বাড়ানোর কারনে তাঁতীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।

সরকার যেন রং, সুতার মূল্য নির্ধারণ করে দেন এ জন্য সুপারিশ করা হবে। এছাড়াও ক্ষুদ্র তাঁতশিল্প রক্ষায় ৫ শতাংশ হারে ঋণসহ বাহারি ডিজাউনের শাড়ি তৈরির জন্য তাঁতীদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।