সোনালী সংবাদ

এলজিইডি কর্মকর্তার গাড়িতে মিলল বান্ডিল বান্ডিল টাকা

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের সিংড়ায় সন্দেহভাজন একটি প্রাইভেটকারে তল্লাশি চালিয়ে গাইবান্ধা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলামের কাছ থেকে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা জব্দ করেছে পুলিশ।

একই সঙ্গে টাকা বহন কাজে ব্যবহৃত প্রাইভেটকারটি জব্দসহ ওই প্রকৌশলীকে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাত ২টার সময় নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় পুলিশের নিয়মিত চেকপোস্টে তল্লাশিকালে এ টাকা ও গাড়ি জব্দ করা হয়।

এরই মধ্যে নির্বাহী প্রকৌশলীকে আটক করে টাকার উৎস জানতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সিংড়া থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানা যায়, ছাবিউল ইসলাম রাজশাহী নগরীর রাজপাড়া থানার ভাটাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি বর্তমানে গাইবান্ধা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডির) নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত আছেন।

সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের চলনবিল গেট এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি কার্যক্রম চালায় পুলিশ।

এসময় গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীগামী একটি সাদা রঙের প্রাইভেটকারকে থামানোর জন্য সিগন্যাল দেয়া হয়। পরে ওই গাড়িটি তল্লাশিকালে ওই গাড়ির ব্যাক ডালায় বিপুল টাকা পাওয়া যায়। তবে তাঁর কথায় অস্পষ্টতা থাকায় বিষয়টি অনুসন্ধানে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদকে) খবর দেয়া হয়।

পরে উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে গাড়িতে ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা পান। ওসি বলেন, এলজিইডির প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী ছাবিউল ইসলাম পুলিশকে প্রথম দিকে জানিয়েছিল তার কাছে জমি বিক্রির ৩০ লাখ আছে।

পরে গণনা করে আরও ৬ লাখ ৯৪ হাজার ৩০০ টাকা বেশি পাওয়া যায়। বিষয়টি রহস্য উদ্ঘাটন করার চেষ্টা চলছে।

নাটোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একরামুল ইসলাম জানান, গাইবান্ধা থেকে ছেড়ে আসা একটি প্রাইভেটকার রাজশাহী যাচ্ছিল।

এসময় বালুয়া-বাসুয়া চলনবিল গেট এলাকা পুলিশের চেকপোস্টে যানবাহন তল্লাশির অংশ হিসেবে গাড়িটিও তল্লাশি করে পুলিশ। এসময় প্রাইভেটকারের ব্যাকডালা থেকে বিপুল টাকা দেখতে পায় তারা।

গাড়িতে থাকা ব্যক্তি নিজেকে গাইবান্ধার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে পরিচয় দেয়। পরে স্থানীয় থানা পুলিশ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিত ৩৬ লাখ ৯৪ হাজার টাকাসহ প্রকৌশলীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

তবে প্রকৌশলী টাকাগুলো জমি বিক্রির দাবি করায় সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে। তবে এলজিইডির প্রকৌশলী পরিচয়দানকারী ছাবিউল ইসলাম বলেন, গাইবান্ধা জেলার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগের (এলজিইডির) নিবার্হী প্রকৌশলী হিসেবে তিনি কর্মরত আছেন। জমি বিক্রির বৈধ টাকা গাইবান্ধা থেকে রাজশাহীতে নিয়ে যাচ্ছিলেন।

Exit mobile version