সংঘর্ষে রিকশাচালক নিহত রাজশাহীতে বিএনপির ছয় নেতাকর্মীর নামে হত্যা মামলা

স্টাফ রিপোর্টার: রাজশাহীতে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় রিকশাচালককে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় বিএনপির ছয় নেতাকর্মীর নামে মামলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় এ মামলা করেন নিহত রিকশাচালক গোলাম হোসেনের (৪৮) স্ত্রী পরিবানু বেগম। বোয়ালিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখ করার পাশাপাশি অজ্ঞাত আরও ১৫-১৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
আসামিরা হলেন- নগরীর শাহ মখদুম থানা বিএনপির আহ্বায়ক সুমন সরদার, চন্দ্রিমা থানা বিএনপির আহ্বায়ক ফাইজুর হক ফাহি, রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মীর তারেক, রাজশাহী মহানগর মহিলা দলের সহ-ক্রীড়া সম্পাদক লাভলীর স্বামী সোহেল রানা ও ভাই নাঈম এবং যুবদল কর্মী রনি।
গত ৬ মার্চ নগরীর কাদিরগঞ্জ এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতার ফ্ল্যাটে অভিযান ও তার ভাইকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়াকে কেন্দ্র করে পরদিন সন্ধ্যায় বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। দড়িখড়বোনা ও আশপাশের এলাকায় প্রায় চার ঘণ্টা ধরে চলা ওই সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। গুলি ফোটে। পুড়িয়ে দেয়া হয় তিনটি মোটরসাইকেলও। মহাজনের রিকশা জমা করে এই রণক্ষেত্রের ভেতর দিয়ে হেঁটে বাসায় যাচ্ছিলেন গোলাম হোসেন। তখনই একপক্ষ আরেক পক্ষের লোক ভেবে রিকশাচালক গোলামকে ছুরিকাঘাত করে। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
ছয় বছর বয়সে বাবা-মাকে হারিয়ে রাজশাহীর এতিমখানায় ঠাঁই হয়েছিল কুমিল্লার গোলাম হোসেনের। তারপর বিয়ে, ঘর, সংসার- সবই হয়েছিল এই শহরে। তিনি দড়িখড়বোনা এলাকায় রেললাইনের পাশে দুই হাজার টাকা ভাড়ার একটি টিনের ঘরে স্ত্রীকে নিয়ে থাকতেন।