ঢাকা | মার্চ ১৪, ২০২৫ - ২:৩৪ পূর্বাহ্ন

নারীদের পছন্দের শীর্ষে পাকিস্তানি থ্রি পিস

  • আপডেট: Thursday, March 13, 2025 - 10:36 pm

কবীর তুহিন: পবিত্র ঈদুল ফিতরের বাকি আর ১৮ দিন। ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহী নগরীর সাহেববাজার সহ অন্যান্য মার্কেটগুলোতে নারীদের ভিড় জমছে। দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পোশাকে ভরে উঠেছে বিপণী-বিতানগুলো। শোভা পাচ্ছে বাহারি রং আর ডিজাইনের পোশাক। রমজানের প্রথম সপ্তাহে মার্কেটে তেমন ভিড় না থাকলেও এখন জমজমাট নগরীর ঈদ বাজার।

এবারের ঈদকে সামনে রেখে রাজশাহীর মার্কেট দখল করে আছে ভারতীয় এবং পাকিস্তানি পণ্য। যার মধ্যে নারীদের পছন্দের শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানি আঘানূর থ্রিপিস, ছাদাবাহার, মারিয়াবী ও ভারতের আলিয়া কাট, নায়রা কুর্তি ইত্যাদি।

নগরীর সাহেববাজারের জেরিন ম্যাচিং সেন্টারের স্বত্বাধিকারী সাইদুল ইসলাম নান্টু বলছেন, রোজা শুরুর সাথে সাথে ক্রেতাদের ভিড় বাড়লেও এবারও এমনটাই হচ্ছে। অনেকেই অনলাইনে অর্ডারের মাধ্যমে তাদের পছন্দের পণ্য ক্রয় করছেন। জেরিনে পাকিস্তানি জর্জেট, সিল্ক ও সুতির থ্রি পিস রয়েছে। এবার ক্রেতাদের পাকিস্তানি জর্জেটের ঝোঁক অনেক বেশি।

বর্ষা ম্যাচিং সেন্টারের মালিক ইফতেখার আলম টুটুল বলেন, অনলাইনে কেনাকাটা ছাড়াও নগরীর বেশির ভাগ পাড়া মহল্লায় বাসা বাড়িতে মেয়েদের বিভিন্ন ধরনের কাপড় পাওয়া যায়। স্বল্প আয়ের ব্যক্তিরা সেখান থেকে ঈদের কেনাকাটা করে ফেলছে। নগরীর বাহির থেকে বেশি ক্রেতা আসে শহরে বাজার করতে। আর শহরের মাহিলারা অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে বেশি পছন্দ করছে। কারণ বাজারের দোকানের চেয়ে অন লাইনের কাপড়ের মূল্য কিছুটা কম।

আবার কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনলাইনে পণ্য দেখে অনেকে অর্ডার করছেন, কিন্তু সেই পণ্যটি হাতে পেয়ে দেখেন, কাপড়টি গুণগত মান অনেক কম। এরা বেশির ভাগ অনলাইনে প্রতারিত হচ্ছেন।

নিউ পোরশা বস্ত্রালয়ের মালিক নাসির উদ্দিন বলেন, গতবারের চেয়ে এবার বেচাকেনা অনেক কম। গ্রাহক নাই বললেই চলে, গত বছর এসময় অনেক ভালো ব্যবসা করেছিলাম।

সাহেববাজার কাপড়পট্টির ইছলা ক্লথ স্টোরের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক বলেন, গতবারের মত এবারও তাদের দোকানে প্রচন্ড ক্রেতাদের ভিড়। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দোকানে নারী-পুরুষের ভিড় থাকায় কর্মচারীরা হিমসিম খেয়ে যাচ্ছে। বেলা দু‘টায় দেখা যায়, ইছলায় ক্রেতাদের অনেক ভিড়। অনলাইনে কেনাকাটা না করে বাজারে এসে কাপড় কেনার কারণ জানতে চাইলে একজন নারী ক্রেতা জানান, অনলাইনে সব সময় সঠিক পণ্য পাওয়া যায় না, মাঝে মাঝে তাদের প্রতারণার শিকার হতে হয়।

তাই তারা বাজারে এসে দেখে তাদের পছন্দের কাপড় কিনতে পারে। তারা আরো বলেন, ইছলাসহ অন্যান্য দোকানে কাপড় তাদের পছন্দের তালিকায় থাকায় তারা এই দোকানগুলোতেই ঈদের সময় আসেন।

এসময় ইছলা মালিক এনামূল বলেন, এবার পাকিস্তানি জর্জেট, পাকিস্তানি সিল্ক, পাকিস্তানি সুতির চাহিদা বেশি। পাকিস্তানি কাপড়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা কালামকারি’র।

্এছাড়াও ভারতের কাপড়গুলোর মধ্যে দিল্লি বুটিক, ইন্ডিয়ান জর্জেট ও ইন্ডিয়ান বিপুলের চাহিদা রয়েছে নারীদের কাছে। দেশি কাপড়ের মধ্যে রয়েছে পাকিস্তানি রিপলিকা ফুল সুতির কাপড় জমজম, মালহাসহ বেশ কিছু থ্রি পিসের চাহিদা।

সাহেববাজার কাপড় পট্টিতে সরজমিনে দেখা যায় জর্জেট থ্রি পিসের মূল্য ২০০০ থেকে ৭০০০, পাকিস্তানি জর্জেট ৫০০০ থেকে ৯০০০, সিল্কের থ্রি পিস ২০০০ থেকে ২৫০০, সুতির কাজ করা থ্রিপিস ১৮০০ থেকে ২০০০, দিল্লি বুটিক ৫৫০০ থেকে ৯০০০, ইন্ডিয়ান বিপুল ৪৫০০ থেকে ৭০০০, ইন্ডিয়ান জর্জেট ৪০০০ থেকে ৪৫০০, প্যাটেল কালাম কারি ১০০০ থেকে ১২০০, এছাড়াও দেশি জমজম ও মালহা ১২০০ থেকে ১৫০০ মত। নগরীর কাপড় ব্যবসায়ীরা মনে করেন, ১৫ রোজার পর থেকে বেচাকেনা অরও বাড়বে।