শিশুকে বলাৎকার, মাদ্রাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন

নাটোর প্রতিনিধি: নাটোরের বড়াইগ্রামে শিশু বলাৎকারের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ওই শিক্ষককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টার দিকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন। সাজাপ্রাপ্ত আব্দুর রহিম কালু বড়াইগ্রাম উপজেলার তালশো আল জামিয়া হুসাইনিয়া মদিনাতুল হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক এবং নাটোর সদরের কাঁঠালবাড়িয়া গ্রামের মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৮ মে তালশো আল-জামিয়া হুসাইনিয়া মদিনাতুল হাফিজিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রহিম কালু সন্ধ্যার পরে ভিকটিম ওই মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রকে মাদ্রাসায় কাজ আছে বলে মোটরসাইকেলে করে তার বাড়ি থেকে মাদ্রাসায় নিয়ে যায়।
সেখানে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে। বলাৎকার করার পরে ওই শিক্ষক ভিকটিমকে তার বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে যায়। এ ঘটনায় ভিকটিম কান্নাকাটি করে তার বাবাকে ঘটনাটি খুলে বলে। পরে তার বাবা চিকিৎসার জন্য তাকে দ্রুত নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে ২১ মে শিশুটির বাবা মাদ্রাসাশিক্ষক আব্দুর রহিম কালুর বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বড়াইগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্দুল কাদের বলেন, চার বছর ধরে মামলার সাক্ষী গ্রহণ এবং শুনানি শেষে বিজ্ঞ আদালত আজ ওই মাদ্রাসা শিক্ষক আব্দুর রহিম কালুর উপস্থিতিতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায়ের আদেশ প্রদান করেছেন।