গৌরাঙ্গ বাড়ী খেতুরী ধাম মন্দিরে পূজার নামে উপসনালয়ে তালা

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার প্রেমতলী খেতুর গ্রামে অবস্থিত শ্রীপাট খেতুরী ধাম (গৌরাঙ্গবাড়ী)।
এই গৌরাঙ্গবাড়ী খেতুরী ধাম মন্দিরে পূজার নামে প্রবেশ করে অফিস কক্ষ, ম্যানাজারের কক্ষ, উপসনালয়ের কক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষে তালা মারার অভিযোগে ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১৫০ জনকে বিবাদি করে গোদাগাড়ী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ হয়েছে।
গত ৮ মার্চ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শ্রী শ্রী গৌরাঙ্গদেব ট্রাস্ট বোর্ডের সভাপতি শ্রী বিদ্যুৎ নারায়ন সরকার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিবাদী সুনন্দন দাস রতন ও অন্যান্য বিবাদীরা গত ৭ মার্চ দুপুরে গৌরাঙ্গবাড়ী খেতুরীধাম মন্দিরে পূজার নাম করে প্রবেশের পর অফিস কক্ষ, ম্যানেজারের কক্ষ, উপসনালয়ের কক্ষসহ বিভিন্ন কক্ষে তালা মেরে মন্দির কমিটির পদত্যাগ দাবি করে।
এমনকি অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাগজ পত্র ও ৭৬ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। গৌরাঙ্গবাড়ীর ম্যনাজার গোবিন্দ পাল বলেন, সুনন্দন দাস রতন গোদাগাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ প্রচার ও প্রকাশনা দম্পাদক ও গৌরাঙ্গদেব ট্রাস্ট বোর্ডের সদস্য।
সে আওয়ামী লীগ পতিত সরকারের পালাতক এমপি ফারুক চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন হওয়ায় ৫ আগষ্টের আগে প্রভাব বিস্তÍার করে একক সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ট্রাষ্ট ভঙের মত গুরুতর অন্যায় আচরণ ও কার্যকলাপ কার্যসিদ্ধান্ত করেছেন। তিলিবাড়ীতে বড় প্রায় ১২ বিঘার পুকুর খননের সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়।
শ্রী বিকাশ কুমার সরকার ভিষণ ভাবে অসুস্থ থাকা সত্তেও উক্ত পুকুর খনন কাজ করেন এবং পুকুর লিজ গ্রহণে একাধিক পাটি অভিমত প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে সুনন্দন দাস রতন মৎস্য বিভা
গের কোন কারিগরি বিশেষজ্ঞর মতামত না নিয়ে নিজে একক সিদ্ধান্তে পুকুরটি অধিক খনন করে ট্রাস্ট বোর্ডের অর্থ খরচ করে। পরবর্তীতে নিজ গ্রহিতা বারংবার পুকুরটি অধিক খননের ফলে মাছ চাষে নানা সমস্যা হচ্ছে মর্মে ট্রাস্ট বোর্ডে অভিযোগ উত্থাপন করে।
বিভিন্ন সভার ডেকোরাম ভঙ করে সুনন্দন দাস রতনের চেয়ে প্রায় সিনিয়র এককাধিক সদস্য (ট্রাস্টি) দের অশালীন উগ্র আচরণের মাধ্যমে অকথ্য ভাষায় অপমান করেন।
অভিযোগের বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্ত (ওসি) রুহুল আমিন বলেন, প্রেমতলী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।