ঢাকা | মার্চ ১২, ২০২৫ - ৭:০৩ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে দুইশ মেট্রিকটন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

  • আপডেট: Tuesday, March 11, 2025 - 9:53 pm

মিজান মাহী, দুর্গাপুর থেকে: রাজশাহীতে এবার পেঁয়াজ কদমের (বীজ) চাষ বেড়েছে। চাষিরাও মাঠে মাঠে পুরোদমে পরিচর্যায় ব্যস্ত রয়েছেন। তবে মৌমাছির আনাগোনা কম হওয়ায় চাষিরা হাতের আলতো ছোয়া দিয়ে হস্ত পরাগায়ন করছেন।

চাষিরা জানান, গত বছর পেঁয়াজের বীজ বাজারে বিক্রি হয়েছে ২ হাজার ৫০০ থেকে ৩ হাজার টাকা কেজি দরে। এতে পেঁয়াজ বীজ চাষে আগ্রহ বেড়েছে। এ বছর রাজশাহী জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজের (কদম) চাষ হয়েছে দুর্গাপুর উপজেলায়।

এই উপজেলায় পেঁয়াজ বীজের চাষ হয়েছে ১১০ হেক্টর জমিতে। এ ছাড়া জেলার উপজেলাগুলোর মধ্যে গোদাগাড়ীতে ৯০ হেক্টর, পুঠিয়া উপজেলায় ৭৫ হেক্টর, পবা, মোহনপুর, বাগমারা, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পেঁয়াজের বীজের চাষ হয়েছে ৫ থেকে ১০ হেক্টর জমি করে।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়,  জেলায় এবার ২৭০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষের  লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আরও ১৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ বেড়েছে। এ থেকে ২০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বীজ উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে।

এসব উৎপাদিত বীজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে অন্য জেলায়ও সরবরাহ করা হয়ে থাকে। দুর্গাপুর উপজেলার শালঘরিয়া গ্রামের মহিদুল ইসলাম বলেন, পেঁয়াজ বীজ চাষ অত্যন্ত লাভজনক।

তবে আবহাওয়া ভাল থাকতে হবে। গতবছর ঝড় শিলা বৃষ্টিতে আমার খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। তিনি বলেন, এখন মাঠে সরিষা নেই। তাই মৌমাছি নেই। পরাগায়ন হচ্ছে না। তাই ফুলে হাতের আলতো ছোঁয়া দিয়ে হস্তপরায়ন করছি। উপজেলার আলীপুর গ্রামের রসুল মিয়া বলেন, গতবছর ১০ কাঠা জমি থেকে ৭০ হাজার টাকা লাভ হয়ে ছিল।

এবার ৫কাঠা বাড়িয়ে ১৫ কাঠা জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ করেছেন। কিন্তু ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ঝুঁকিতে আছেন। সোলেমান বলেন, পেঁয়াজের কদম বীজ সাড়ে তিন থেকে চার মাস জমিতে থাকেন। এই ফসলের পরিচর্যা বেশি লাগে। পরিচর্যার অভাব হলে ফলন কমে যাবে। সময় মতো কীটনাশক দিতে হবে।

দুর্গাপুর উপজেলা সাহারা খাতুন লাবনী কৃষি কর্মকর্তা বলেন, চাষিদের পেঁয়াজচাষে নানা ভাবে উদ্বুদ্ধ করছে কৃষি বিভাগ। জেলার সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন এ উপজেলায়।

জমিতে মৌমাছি না থাকলে নানা পন্থা অবলম্বন করে চাষিদের পরাগায়নে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।  রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক উম্মে ছালমা বলেন, রাজশাহীর অঞ্চলের পেঁয়াজ বীজের মান অত্যন্ত ভাল।

এবার জেলায় লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ২৮৫ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজ বীজ চাষ হয়েছে। আমরা আশা করছি আবহাওয়া অনূকূলে থাকলে এবছর ২০০ মেট্রিক টনের ওপরে বীজ উৎপাদন হবে।