ঢাকা | মার্চ ১২, ২০২৫ - ৬:০৩ অপরাহ্ন

যমুনা নদী থেকে ভারতীয় ওষুধ ও বিদ্যুৎ শকে মৎস্য নিধন

  • আপডেট: Tuesday, March 11, 2025 - 10:14 pm

হুমকিতে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য আহরণ

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি: অভিনব কৌশলে পানিতে বিদ্যুৎ শকদিয়ে অবৈধ পন্থায় কতিপয় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা মৎস্য নিধন করে বাজার জাত করার মহাউৎসবে পরিণত হয়েছে বলে

অভিযোগ উঠেছে। যেন দেখার কেহই নেই। সূত্রে জানা যায়, যমুনা নদীর মিঠা পানিতে জন্ম নেয়া সুস্বাদু মাছের চাহিদা রয়েছে সমগ্র দেশজুড়ে। শুষ্ক মৌসুমে যমুনা নদীর পানি কমে যাওয়ায় যমুনার বুকে বিশাল আয়তন জুরে গেছে উঠেছে বালুচর।

প্রমত্ত কড়াল গ্রাসী যমুনা আজ মরা নদীতে পরিণত হয়েছে। পানি শূন্যতার কারণে মৎস্য শূন্য হয়ে পড়ায় মাছের আকাল দেখা দিয়েছে অত্র অঞ্চলে। মিলছেনা আগের মতো।

সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর উত্তরে কাজিপুরের বিলচতল, মেঘাই, শুভগাছা, সদর উপজেলার রতনকান্দি, কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের সম্মুখ ভাগে নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে, বিশেষ করে সদর উপজেলায় বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতুর আড়ে পাশে বিভিন্ন পয়েন্টে দিনরাত মিলে অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা খাদ্যে ভারতীয় ওষুধীয় মিশিয়ে ওইসকল খাদ্য যমুনা নদীর পানিতে ছিটিয়ে দেয়ার কিছু সময় পর পানির নিচে থাকা দেশীয় প্রজাতির ইলিশ, চিংড়ি, বেলে, বাতাশি, ট্যংড়া, গোলশা, বাঁচা, ঘাইরা, খসল্লা, রিঠা, আইড়, বোয়াল, বাইম, গোচইসহ ছোট-বড় বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলো খাদ্য লোভে পানির ওপরে উঠে আসে। এসময় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা সুকৌশলে পানিতে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন ব্যাটারির মাধ্যমে বিদ্যুৎ এর শকদেয়ার ফলে নিদৃষ্ট আয়তনে থাকা  দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় মাছগুলো মরে পানির ওপরে ভেসে ওঠে।

এসময় চাকতির মতো গোলাকার ও তিনকোন বিশিষ্ট জাল দিয়ে এই মাছগুলো ধরে বিভিন্ন টিনের পাত্র ও পাতিল বোঝাই করে ওই সকল মৎস্য নিধনকারী অসাধু লোকেরা আশপাশের আড়ত ও বিভিন্ন বাজারে বাজার জাত করণ এবং বিভিন্ন হোটেলে বিক্রয় মহাউৎসবে পরিণত হয়েছে। এতে যমুনার দেশীয় প্রজাতির ছোট-বড় সুস্বাদু মাছগুলো বিলুপ্তির পথে। বাজারে মাছের আকাল দেখা দিয়েছে বলে জানাযায়।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেক্তিসহ স্থানীয় রমজান আলী, আলী আজগর শেখ, সাগর শেখ, ইকবাল হোসেন, আশরাফুল আলম, আবুশামা শেখসহ অনেকেই জানান, যমুনা নদীর সুস্বাদু মাছের চাহিদা দেশজুড়ে।

যমুনা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে দিনের তুলনায়  রাতের আধারে প্রায় প্রতিদিনই রাতদিনই অভিনব কৌশলে অবৈধ পন্থায় বিভিন্ন প্রজাতির মৎস্য নিধন করছে কতিপয় অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ীরা।

এতে দেশীয় প্রজাতির মৎস্য আহরণ হুমকির মুখে ধাবিত হচ্ছে বলে জানাগেছে। তারা আরও জানান,  জেলা ও উপজেলা মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে যমুনা নদীর বিভিন্ন প্রজাতির সুস্বাদু মাছ ধ্বংস প্রতিরোধে কোনরূপ অভিযান বা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় এই মৎস্য নিধন মহামারি আকার ধারণ করেছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

স্থানীয় সচেতন মহলের দাবি, হুমকির মুখে ধাবিত দেশীয় প্রজাতির মৎস্য নিধন বন্ধ করনে জেলা ও উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে দ্রুত অভিযান অব্যাহত রেখে অবৈধ পন্থায় মৎস্য নিধনকারী ওই সকল অসাধু লোকেদের আটক করে আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তি প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন সচেতন মহল।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার ৯নং কালিয়া হরিপুর ইউনিয়নের বার বার নির্বাচিত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদের ও স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে সাংবাদিকদের বলেন, ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ ইং তারিখে যোগদানের পর কয়েক বার যমুনা নদীতে অভিযান চালিয়েছি কিছু চয়না ও কারেন্ট জাল আটক করে জালিয়ে দিয়েছ

আর এ ছাড়াও বিভিন্ন স্থানে দৌড় ধাপ পারায় অভিযান পরিচালনা করা সম্ভব হয় না। প্রায় প্রতিদিনই যমুনা নদীতে অভিনব কৌশল মৎস্য নিধনের সংবাদ প্রকাশের বিষয়ে তিনি অবগত নন বলেও জানান এবং বিভিন্ন পত্রিকা অনলাইন পত্রিকার সংবাদ প্রকাশসহ এতো কিছুর পরে যদি সাংবাদিকগণ তার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার হুমকি প্রদর্শন করেন তিনি।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার এমন অশুভ আচরণে নানা প্রশ্ন জেগেছে সাংবাদিক সহ সচেতন মহলে। এর খুঁটির জোর কোথায় জনতা জানতে চায়?