ঢাকা | মার্চ ১১, ২০২৫ - ৫:২৪ পূর্বাহ্ন

মোহনপুরের ধুরইল বিল হতে মানুষের মগজ সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার

  • আপডেট: Monday, March 10, 2025 - 11:28 pm

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ১ নং ধুরইল ইউপির বিলে ধানের জমিতে মানুষের মাথার মগজ (সাদৃশ্য বস্তু) পাওয়া গেছে। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত রোববার দিবাগত রাতে ধুরইল মাস্টার পাড়ার রুস্তম আলীর ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩৫), মৃত মানতাসার ছেলে রুস্তম আলী (৫৫) এবং আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে আলতাফ হোসেন (৪৮) ধুরইল বিলে অবস্থিত রাজশাহী বরেন্দ্র বহুমুখী কর্তৃপক্ষের ডিপ টিউবওয়েল হতে ধানে জমিতে পানি নিতে যায়।

ধানের জমিতে পানি নিতে গিয়ে আলতাফ হোসেন আর বাড়িতে ফিরে না আসায় সোমবার (১০ই মার্চ) ভোরে তার পরিবারের লোকজন ধানের জমিতে গিয়ে দেখে সেখানে আলতাফ হোসেন নেই এবং ধানের জমির পাশে মানুষের মাথার মগজ (সাদৃশ্য বস্তু) পড়ে আছে। তখন আলতাফ হোসেনের পরিবারের লোকজন কান্নাকাটি শুরু করলে আশপাশের লোকজনও এগিয়ে আসেন এবং মাথার মগজ (সাদৃশ্য বস্তু) দেখতে পায়। খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে যায় এবং মগজ সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে।

পরবর্তীতে এ বিষয় নিয়ে এলাকায় চাঞ্চলের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশ ধানের জমিতে পানি নিতে যাওয়া শরিফুল ইসলাম এবং রুস্তম আলীর বাড়িতে গিয়ে তাদেরকেও পায়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনসাধারণ নিকট হতে জানা যায়, পূর্ব থেকেই বসতবাড়ি ও ধানের জমিতে পানি আগে নেয়াকে কেন্দ্র করে শরিফুল ইসলাম এবং রুস্তম আলীর সঙ্গে আলতাফ পরিবারের দ্বন্দ্ব ফ্যাসাদ চলমান। তারই প্রেক্ষিতে কোন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও ঘটতে পারে বলে তারা মনে করছে।

এ বিষয়ে মোহনপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতাউর রহমান বলেন, ধুরইল বিলে মানুষের মগজ (সাদৃশ্য বস্তু) পাওয়ার ঘটনা সত্য। তবে ফরেনসিক পরীক্ষা ছাড়া বলা সম্ভব নয় এটা মানুষের মগজ নাকি অন্য কোন প্রাণীর মগজ। আমাদের সঙ্গে ইতিমধ্যে সিআইডি’র একটি টিম কাজ করছে। মগজ সাদৃশ্য বস্তুটি সংগ্রহ করে ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

অপরদিকে পূর্বে থেকেই আলতাফ পরিবারের সঙ্গে শরিফুল এবং রুস্তম আলীর পরিবারের দ্বন্দ্ব রয়েছে।  ঘটনার পর থেকে শরিফুল এবং রুস্তম আলী পলাতক রয়েছে। এখন পর্যন্ত আলতাফ হোসেন বা তার লাশ কোনটাই পাওয়া যায়নি, তদন্ত চলমান রয়েছে।