আর্জেন্টিনায় প্রবল বৃষ্টিপাতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: কর্তৃপক্ষ শনিবার জানিয়েছে, আর্জেন্টিনার বন্দর নগরী বাহিয়া ব্লাঙ্কায় কয়েক ঘন্টার মুষলধারে প্রবল বৃষ্টিপাতের কারণে বন্দর নগরী বিধ্বস্ত হয়েছে, যা সাধারণত এক বছরের বৃষ্টিপাতের সমান। এই দুর্যোগের কারণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া শত শত মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আর্জেন্টিনার বাহিয়া ব্লাঙ্কা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
শুক্রবারের এই বৃষ্টি এবং ঝড়ের ফলে বন্যার পানিতে চার এবং এক বছর বয়সী দুই তরুণী ভেসে গেছে বলে জানা গেছে। এখনও তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।
আকস্মিক বন্যায় হাসপাতাল প্লাবিত হয়েছে। আশেপাশের এলাকাগুলো দ্বীপে পরিণত হয়েছে। শহরের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৩ জনে দাঁড়িয়েছে, যা শুক্রবার ১০ জন ছিল।
মেয়রের কার্যালয় জানিয়েছে, রাজধানী বুয়েনস আইরেস থেকে ৬০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত ৩ লাখ ৫০ হাজার বাসিন্দার এই শহরে আরো অনেকের হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন বন্যার পানিতে ডুবে থাকা সড়কে মারা গেছেন। সম্ভবত দ্রুত বয়ে যাওয়া পানির কারণে তাদের গাড়িতে আটকা পড়ায় তারা মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রাদেশিক নিরাপত্তামন্ত্রী জাভিয়ের আলোনসো বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া মুষলধারে বৃষ্টিপাতের ফলে মাত্র আট ঘণ্টায় ওই অঞ্চলে ৪০০ মিলিমিটারেরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা সাধারণত পুরো বছরে বাহিয়া ব্লাঙ্কায় যত বৃষ্টিপাত হয় তার সমান।
তিনি আরো বলেন, এটি নজিরবিহীন।
শনিবার বুলরিচ এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী লুইস পেট্রি একটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন যে তাদের আগের রাতে এলাকাটি পরিদর্শন করা উচিত ছিল। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করা একটি ভিডিও অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।
কিছু স্থানীয় লোক বুলরিচকে বন্যার পানির দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল। তারা বুলরিচকে উদ্দেশ করে গালিগালাজ করে। পুলিশ এবং সরকারি কর্মকর্তারা তাকে উদ্বার করে।
পরিবেশ কর্মকর্তা আন্দ্রেয়া ডুফোর্গের মতে, চরম আবহাওয়া ’জলবায়ু পরিবর্তনের একটি স্পষ্ট উদাহরণ।
বুয়েনস আইরেসের বাইরে ইতুজাইঙ্গো শহরের পরিবেশ নীতি পরিচালর্ক বলেন, ’দুর্ভাগ্যবশত, এটি চলতেই থাকবে। শহরগুলোকে প্রস্তুত করা, নাগরিকদের শিক্ষিত করা এবং কার্যকর প্রাথমিক সতর্কতা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা ছাড়া আমাদের আর কোনও বিকল্প নেই।
সূত্র: বাসস