ঢাকা | মার্চ ১০, ২০২৫ - ২:১৬ পূর্বাহ্ন

বেদখলী জলমহাল উদ্ধার করে দু’মাসে কোটি টাকার ঊর্ধ্বে রাজস্ব আদায়

  • আপডেট: Saturday, March 8, 2025 - 10:12 pm

রেজাউল ইসলাম সেলিম, নিয়ামতপুর থেকে: নিয়ামতপুরে দীর্ঘদিন থেকে বেদখল হওয়া  সরকারি (খাস) পুকুর উদ্ধার করে তা থেকে খাস কালেকশনের মাধ্যমে কোটি টাকার ঊর্ধ্বে রাজস্ব আদায় করেছে নিয়ামতপুর উপজেলা প্রশাসন।

রেকর্ড পরিমাণ এ রাজস্ব আদায় করে  জেলায় প্রশংসিত হয়েছেন নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান। তিনি নিয়ামতপুরে যোগদানের পর পরই উপজেলার সরকারি জলমহালসমূহ সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।

জানা যায়, নিয়ামতপুর উপজেলা রয়েছে ২ হাজার ৫শ ৬৬টি জলমহাল। এগুলো জলমহালের মধ্যে অনেক জলমহালই ইজারা ছাড়াই বিগত সরকারের আমলে প্রভাবশালীদের ভোগদখলে ছিল। আবার বেশ কিছু জলমহাল ইজারায় থাকলেও তার অর্থ বকেয়া ছিল দীর্ঘদিন। এমন পরিস্থিতিতে বিগত সরকারের পতন ঘটে। পরবর্তীতে এসকল জলমহাল থেকে রাজস্ব আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে উপজেলা প্রশাসন।

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জলমহাল থেকে রাজস্ব আদায়ে শুরুতেই জলমহালসমূহের বকেয়া অর্থ আদায়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং যে সকল জলমহালের বিপরীতে ইজারার আবেদন দাখিল হয়নি সে সকল জলমহালের খাস কালেকশনের উদ্যোগ নেয়া হয়। বিগত ২০২৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর থেকে অদ্যাবধি ১৪৩১-৩৩ বঙ্গাব্দের জন্য ইজারাকৃত জলমহাল থেকে ৮৮ লাখ ৫২ হাজার ৭৯০ টাকার রাজস্ব আদায় করা হয় এবং ইজারা বহির্ভূত জলমহাল  থেকে ২৫ লাখ ২৩ হাজার ১২০ টাকার খাস আদায়ের মাধ্যমে সর্বমোট রাজস্ব আদায় হয় ১ কোটি ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৯১০ টাকা।

মাত্র দু’মাসে এ সকল জলমহাল থেকে কোটি টাকার অধিক রাজস্ব আদায় করে ভূমি অফিস। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে ইজারার বাইরে থেকে যাওয়া এ সকল জলমহাল থেকে কোন প্রকার খাস আদায় করা সম্ভব হয়নি। যেখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয় আসল ২৫ লাখ ২৩ হাজার ১শ ২০ টাকা। পূর্ববর্তী পরিসংখ্যানে  দেখা যায়, ১৪২৯-৩১ বঙ্গাব্দের জন্য জলমহাল ইজারা বাবদ আদায় হয়েছিল ২৬ লাখ ২৫ হাজার ৩০০ টাকা।

১৪৩০-৩২ বঙ্গাব্দের জন্য জলমহাল ইজারা বাবদ আদায় হয়েছিল ৪৪ লাখ ৬ হাজার ৯০০ টাকা। অর্থাৎ বিগত সময়ের তুলনায় অন্তত দ্বিগুণের অধিক রাজস্ব আদায় হয়েছে নিয়ামতপুরে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান বলেন, নিয়ামতপুরের জলমহালসমূহ সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনার লক্ষ্যে নওগাঁ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়ালের নির্দেশে এ কার্যক্রম শুরু করি। কার্যক্রম শুরুর দু’মাসে কোটি টাকার ঊর্ধ্বে রাজস্ব আদায় করতে সক্ষম হই। ইতিমধ্যে নিয়ামতপুর উপজেলার অধিকাংশ জলমহালে সরকারের দখল ও নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করেছে উপজেলা প্রশাসন। শতাধিক জলমহালে সরকারি মালিকানাসূচক সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়েছে।

অচিরেই সকল জলমহালসমূহে সরকারি মালিকানাসূচক এই সাইনবোর্ড স্থাপন করা হবে। জলমহালসমূহ সঠিক ব্যবস্থাপনার আওতায় আনার লক্ষ্যে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্বক্ষণিক কাজ করে যাচ্ছেন।