ঢাকা | মার্চ ৬, ২০২৫ - ৩:৩১ অপরাহ্ন

২১ দফা দাবি রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের

  • আপডেট: Thursday, March 6, 2025 - 12:59 am

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: ক্যাম্পাসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত ও অবিলম্বে রাকসুর গঠনতন্ত্র সংস্কার করে নির্বাচন দেয়াসহ ২১ দফা দাবি জানিয়েছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট।

আজ বুধবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সংবাদ সম্মেলনে এই দাবিগুলো জানান তারা। সংবাদ সম্মেলন শেষে ২১ দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছে সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রাবি সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সদস্য আতিক আজমাইন। এসময় আহ্বায়ক ফুয়াদ রাতুল এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সজীব আলী উপস্থিত ছিলেন।

লিখিত বক্তব্যে আতিক আজমাইন আরো ১৯টি দাবি উল্লেখ করে বলেন, ইউজিসি’র কৌশলপত্র বাতিল করতে হবে, শিক্ষার বাণিজ্যিকীকরণ বন্ধ করতে হবে, ক্যাটারিং বন্ধ করে ভর্তুকি মূল্যে হল ডাইনিং চালু করতে হবে, ডাক্তার-নার্স টেকনিশিয়ান নিয়োগ দিয়ে মেডিকেল সেন্টারে ২৪ ঘন্টা চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করতে হবে, দলীয়করণ, স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতি মুক্ত বয়োজ্যেষ্ঠতা ও আর্থিক অসচ্ছলতার ভিত্তিতে হলের সিট বন্টন করতে হবে, ক্যাম্পাসে বাসের সংখ্যা ও ট্রিপ বৃদ্ধি করতে হবে, ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক আবেদন ফি কমিয়ে সর্বোচ্চ ২০০ টাকা নির্ধারণ করতে হবে, ফরম ফিলাপ ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজেশন এবং ৫০ টাকা স্বাক্ষর ফি বিলুপ্ত করতে হবে, ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরীণ সড়ক মেরামত করতে হবে, গবেষণার জন্য বাজেটে বরাদ্দ বাড়িয়ে শিক্ষার্থীদের গবেষণা তহবিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে, শিক্ষক নিয়োগ পদ্ধতি সংস্কার করতে হবে, স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে টিচিং এ্যাসিস্ট্যান্ট ও রিসার্চ এ্যাসিস্ট্যান্ট নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু করতে হবে, সেশন জট নিরসনে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।

এ ছাড়া সুষ্ঠুভাবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য কয়েকটি দাবি করেছেন তারা। সেগুলো হলো- সংস্কৃতিক ও সামাজিক কার্যক্রমের জন্য বাজেট বৃদ্ধি করতে হবে এবং তার অডিট রিপোর্ট প্রকাশ করতে হবে, অডিটোরিয়াম, টিএসসি, ইঞ্জিনিয়ারিং গ্যালারির ফি শিক্ষার্থী বান্ধব করতে হবে, আড্ডা, গান, বিনোদন সহ অন্যান্য সহ-শিক্ষামূলক কর্মকান্ডের জন্যে নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিতকরণে ক্যাম্পাসের চা দোকান উচ্ছেদ করে জনপরিসর ধ্বংস করা বন্ধ করতে হবে।

এ ছাড়াও লাইব্রেরি উন্নয়ন, যৌন নীপিড়ন নিয়ন্ত্রণ, নারী শিক্ষার্থীদের স্যানিটারি ব্যাবস্থা উন্নয়ন, মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রের আধুনিকায়ন ও ক্লাস উপস্থিতির নম্বর বাতিলসহ বিভিন্ন দাবি করেছেন সংগঠনটির নেতারা।