ইফতারে জনপ্রিয়তা পেয়েছে চিকেন সাসলিক

সুমন শেখ: ইফতারে মুখোরোচক সব খাবার ছাড়া পেটও ভরে না আবার প্রশান্তিও মেলে না। তাই ইফতারে প্রতিদিন সুস্বাদু সব পদ খেতে সবাই পছন্দ করেন। কাবাবের মধ্যে চিকেন সাসলিক অনেকেরই হয়তো পছন্দের! সাধারণত বিভিন্ন কাবাব হাউজ বা রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খাওয়া হয়ে থাকে মুখোরোচক এই খাবারটি।
এবারের রমজানে রাজশাহীর ইফতারের অন্যান্য সামগ্রীর মধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে চিকেন সাসলিক। নগরীর অভিজাত রেষ্টুরেন্ট থেকে শুরু করে ফুটপাতের ইফতার বাজার, সবখানেই মিলছে সাসলিক। তবে বেশিরভাগই রেস্টুরেন্টেই চিকেন সাসলিকের চাহিদা সবচেয়ে বেশি।
রাজশাহী নগরীর অভিজাত রেস্টুরেন্ট ওয়ারিশন চিকেন সাসলিক তৈরিতে তাদের ২৫ বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। কালের বিবর্তনে ২০ টাকার সাসলিক বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। দাম বাড়লেও সাসলিক তৈরিতে তাদের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে রেস্টুরেন্টটি।
বিক্রেতারা বলছেন, ইফতারে তাদের রেস্টুরেন্টে তৈরি চিকেন ও বিফ সাসলিকের বেশ কদর রয়েছে। ইফতাদের অন্যান্যে সামগ্রীর সাথে সাসলিকও কিনছেন ক্রেতারা। বর্তমানে পণ্য সামগ্রীর দাম বাড়তি থাকায় তারাও সাসলিকের দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছেন।
নগরীর সাহেববাজার এলাকার ক্রেতা নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের পরিবারের ইফতারের অন্যতম আইটেম হচ্ছে চিকেন সাসলিক। বিশেষ করে সন্তানদের পছন্দের ইফতার সামগ্রী। আর তা হবে ওয়ারিশনের চিকেন সাসলিক। গেল কয়েক বছর ধরেই এই রেস্টুরেন্টের সাসলিক বেশ জনপ্রিয়।
শুধু অভিজাত রেস্টুরেন্ট নয়, নগরীর সাহেববাজার জিরোপয়েন্ট, গনকপাড়া, নিউ মার্কেট, গৌরহাঙ্গা, লক্ষ্মীপুর মোড়ে, ভদ্রা, তালাইমারি মোড়ে, বিনোদপুর বাজার, শালবাগান বাজার, কোর্টবাজার এলাকার ফুটপাতের ইফতার দোকানগুলোতেও সাসলিকের বেশ চাহিদা রয়েছে। এসব দোকানে প্রতি পিচ সাসলিক ৫০ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।