মুন্সীগঞ্জে বিভিন্ন কবরস্থান থেকে ২৮ টি কংকাল ও মাথার খুলি চুরি

অনলাইন ডেস্ক: মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় বিভিন্ন কবরস্থান থেকে কবর খুঁড়ে কংকাল এবং মাথার খুলি চুরির রহস্যজনক ঘটনা ঘটেছে। সংঘবদ্ধ একটি চক্র গত ১৫ দিনে কবর খুঁড়ে ২৮টি লাশের কংকাল এবং মাথার খুলি চুরি করে নিয়ে যায় বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কংকাল ও মাথার খুলি চুরির রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি।
শ্রীনগর উপজেলার বেজগাঁও, বিলতারা, ষোলঘর, সিংপাড়া এবং চারিগাঁও এলাকায় কবরস্থানে রাতের আধারে কবর খুঁড়ে লাশের কংকাল এবং মাথার খুলি চুরির এ ঘটনা ঘটে। চোর চক্রটি একাধিক কবর খুঁড়ে কোনটি হতে মাথার খুলি কোনটির আবার পুরো কংকাল উঠিয়ে নিয়ে যায়। সংঘবদ্ধ চক্রটি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সিংপাড়া সামাজিক কবরস্থানে ২৭টি কবর খুঁড়ে ৭টি কংকাল এবং চারিগাঁও জান্নাতুল ফেরদৌস কবরস্থানে ১২টি কবর খুঁড়ে ৪টি কংকাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে পূর্ব বেজগাঁও কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে ১১টি এবং বিলতারা ও ষোলঘর কবরস্থান থেকে ৬টি মাথার খুলি চুরি হয়। এসব কবরস্থান ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের পাশে হওয়ায় সহজেই চোর চক্রটি লাশের কংকাল চুরি করে চলে যেতে পারছে বলে স্থানীয়দের ধারণা।
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সাবেক আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. এহসানুল করীম বলেন, মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীদের পড়াশুনার জন্য মানুষের কংকাল প্রয়োজন হয়। বাইরে থেকে এসব কংকাল কিনতে হয়। তবে বাজারে এর খুব বেশী চাহিদা নেই।
তিনি বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞান ছাড়াও অন্য কোন কাজে কংকাল বা মাথার খুলি ব্যবহার হতে পারে।
শ্রীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাকিল আহমেদ কংকাল চুরির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে এবং চোর চক্রটি ধরার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
সূত্র: বাসস