ঢাকা | মার্চ ৬, ২০২৫ - ৯:৩১ পূর্বাহ্ন

আন্তর্জাতিক আলোচনার টেবিলে ফিরতে ইচ্ছুক ইউক্রেন

  • আপডেট: Wednesday, March 5, 2025 - 10:02 pm

সোনালী ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত মঙ্গলবার মার্কিন কংগ্রেসের এক যৌথ অধিবেশনে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রকাশ করেছেন।

তিনি জানান, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির একটি চিঠি পেয়েছেন, যাতে ইউক্রেনীয় নেতা রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। ট্রাম্পের মতে, এই আলোচনা দীর্ঘস্থায়ী শান্তির পথ প্রশস্ত করতে পারে।

ট্রাম্প কংগ্রেসে দেওয়া বক্তৃতায় জেলেনস্কির চিঠির কিছু অংশ উদ্ধৃত করে বলেন, “দীর্ঘস্থায়ী শান্তি নিকটতর করতে ইউক্রেন যত দ্রুত সম্ভব আলোচনার টেবিলে ফিরতে প্রস্তুত। শান্তি ইউক্রেনীয়দের চেয়ে বেশি আর কেউ চায় না।”

তিনি আরও যোগ করেন, রাশিয়ার সঙ্গেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় রয়েছেন এবং রাশিয়া শান্তির জন্য প্রস্তুত বলে জোরালো ইঙ্গিত পেয়েছেন।

ট্রাম্পের মতে, এই যুদ্ধ বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। তিনি বলেন, “এটি কি সুন্দর হবে না? এই পাগলামি বন্ধ করার সময় এখন। সময় এখন এসব হত্যাকাণ্ড বন্ধ করার। সময় এখন এই অর্থহীন যুদ্ধ বন্ধ করার। যুদ্ধ বন্ধ করতে চাইলে উভয় পক্ষের সঙ্গেই কথা বলতে হবে।”

ট্রাম্পের বক্তৃতায় ইউক্রেনের মূল্যবান খনিজ সম্পদ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের কথাও উঠে আসে। গত শুক্রবার জেলেনস্কি ওয়াশিংটনে গিয়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা করেছিলেন।

তবে হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে এক উত্তপ্ত বৈঠকের পর চুক্তি স্বাক্ষর প্রক্রিয়া থমকে যায়।

মার্কিন প্রশাসনের চার সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ট্রাম্প প্রশাসন ও ইউক্রেন মার্কিন সামরিক সহায়তার বিনিময়ে এই চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা করেছিল। তবে মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট ফক্স নিউজকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, “এটি স্বাক্ষরের কোনো পরিকল্পনা হয়নি।”

ট্রাম্পও এই চুক্তি নিয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি, যা চুক্তিটির ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলেছে।

ট্রাম্পের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে শান্তি আলোচনা পুনরায় শুরু করতে আগ্রহী। তবে তিনি কংগ্রেসে তার পরিকল্পনার বিস্তারিত রূপরেখা প্রকাশ করেননি।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বড় এই সংঘাত কীভাবে সমাধান করা যায়, তা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনা এখনও অস্পষ্ট। তবে তিনি উভয় পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।