১০ কোটি টাকার দুর্নীতি: দুদকের মামলা

অনলাইন ডেস্ক: পদ্মা সেতু প্রকল্পসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণে সরকারি খাসজমি ও অর্পিত সম্পত্তি ও অন্যের মালিকানাধীন সম্পত্তির ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ২৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকে মামলা হয়েছে।
তৎকালীন মাদারীপুর ভূমি হুকুম দখল কর্মকর্তা ও বর্তমানে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল ঢাকার সহকারী পরিচালক প্রমথ রঞ্জন ঘটক ও ২ জন সার্ভেয়ারসহ ২৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
দুদকের মামলা সূত্রে জানা গেছে, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পসহ ৫টি এলএ কেসের সরকারি খাস, ভিপি সম্পত্তি ও বিভিন্ন মালিকার সম্পত্তির কাগজপত্র জালিয়াতির মাধ্যমে অধিগ্রহণের ক্ষতিপূরণ বিল তুলে নেয়।
২৩টি চেকের বিপরীতে ৯ কোটি ৯৭ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪ টাকা বিভিন্ন নামে তুলে নেয়। তৎকালিন এলএও প্রমথ রঞ্জন ঘটক এই জালিয়াতির সঙ্গে সারাসরি জড়িত থাকার প্রমাণ পায় দুদক।
একই সময় কর্মরত রাসেল আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিন নামের দুই সার্ভেয়ারও জড়িত ছিল। স্থানীয় একটি চক্রের সঙ্গে মিলে প্রায় ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি করেছে বলে প্রমাণ পেয়েছে দুদক। দুদকের মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে প্রমথ রঞ্জন ঘটককে। এছাড়া সার্ভেয়ার রাসেল আহম্মেদ ও নাসির উদ্দিনকে আসামি করা হয়।
স্থানীয় আলো পত্তনদার, আব্দুল মালেক মৃধা, সুরুজ মিয়া, রাজিয়া বেগম, আব্দুল কাদির কাজী, শাহিন বেপারী, কুলসুম বিবি, আতিকুর রহমান, মিলন শেখ, জিল্লুর রহমান, মনির মিয়া, জোসনা বেগম, আখি বেগম, আলম আলী বেপারী, হাছিনা বেগম, আছমা বেগম, আওলাদ হোসেন, ফরিদা বেগম, মতিউর রহমান, সুধাংশু কুমার মন্ডল নামের এই ২০ জনকেও আসামি করা হয়েছে।
মাদারীপুর দুদকের উপ-পরিচালক আতিকুর রহমান বলেন, ২০২২ সালে আমরা এ ঘটনার বিষয়ে অনুসন্ধানের নির্দেশনা পাই। দীর্ঘদিন অনুসন্ধান করে এ ঘটনার তথ্য-উপাত্তসহ প্রমাণ সংগ্রহ করার পর এ বিষয়ে মামলা করার অনুমোদন পাই।
৫ মার্চ বুধবার আমরা এ বিষয়ে মামলা করি। এখন আমরা আসামিদের আটক করার জন্য চেষ্টা করব। এ বিষয়ে দ্রুতই অভিযান শুরু করা হবে।