সীমান্তের ঘটনা নিয়ন্ত্রণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ লেবানিজ ও সিরীয় নেতৃবৃন্দ

অনলাইন ডেস্ক: লেবাননের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আউন মঙ্গলবার কায়রোতে আরব শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার সাথে এক আলোচনায় তাদের সংযুক্ত সীমান্তে ঘটনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সম্মত হয়েছেন।
কায়রো থেকে এএফপি আজ এ খবর জানায়।
লেবাননের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় মঙ্গলবার এক্সে-এক পোস্টে জানিয়েছেন, ‘তিনি ও সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারা বেশ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন’। তারা ‘দুই দেশের মধ্যে সীমান্ত ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তা’ নিয়ে একমত হয়েছেন।
আউন ও শারা ফেব্রুয়ারিতে ফোনে কথা বলেন। মঙ্গলবার তারা প্রথম সরাসরি বৈঠকে মিলিত হন।
সিরিয়া-লেবাননের সাথে ৩শ’ ৩০কিলোমিটার সংযুক্ত সীমান্ত রয়েছে। তবে বিভিন্ন স্থানে কোনো কোনো সীমানা অরক্ষিত থাকায় এলাকাটি ঝুঁকিপূর্ণ চোরাচালানের প্রবেশপথ হয়ে উঠেছে।
সিরিয়া এবং লেবাননের সংঘাত ও সহিংসতার ইতিহাস রয়েছে।
পাঁচ দশক ধরে শাসন করার পর গত ৮ ডিসেম্বর প্রেসিডেন্ট আসাদের ক্ষমতাচ্যুতির মাধ্যমে একটি নতুন সিরিয়ার সূচনা হয়।
লেবাননে ৯ জানুয়ারির নির্বাচনে আউন জয়ী হওয়ার মাধ্যমে দেশটিতে দীর্ঘ দুই বছরের প্রেসিডেন্টের শূণ্য পদ পূরন হয়। দেশটির দীর্ঘ কালীন প্রভাবশালী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ ইসরাইলের সাথে যুদ্ধে ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) বিদ্রোহীরা আসাদকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর শারা সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর হিজবুল্লাহ সিরিয়ার মধ্য দিয়ে ইরানের কাছ থেকে আসা মূল সরবরাহ পথটি হারিয়ে ফেলে।
সিরিয়ার নতুন কর্তৃপক্ষ গত মাসে সীমান্তবর্তী হোমস প্রদেশে একটি নিরাপত্তা অভিযান শুরু করার ঘোষণা দেয়। যার লক্ষ্য অস্ত্র ও পণ্য চোরাচালান রুট বন্ধ করা। তারা হিজবুল্লাহকে হামলা চালানোর জন্য অভিযুক্ত করে বলেছে, এটি আন্তঃসীমান্ত চোরাচালানকারী দলগুলোর পৃষ্ঠপোষকতা করছে।
যুদ্ধ পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের মতে, নিরাপত্তা অভিযানটি হিজবুল্লাহর সাথে সম্পর্কিত এলাকার মাদক চোরাচালানকারী ও অপারেটরদের লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়।
সূত্র: বাসস