ঢাকা | মার্চ ৫, ২০২৫ - ৩:৫৯ পূর্বাহ্ন

বড়াইগ্রামে মন্দির সংলগ্ন জমির দখল নিয়ে হিন্দু সমাজে বিভক্তি

  • আপডেট: Tuesday, March 4, 2025 - 9:52 pm

বড়াইগ্রাম (নাটোর) প্রতিনিধি: বড়াইগ্রামে ৬ শতাংশ জমির দখল নিয়ে মন্দির কর্তৃপক্ষ ও এক জুয়েলারী ব্যবসায়ীর মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই ব্যবসায়ীর দেয়া টিনের বেড়া ভাঙচুর ও পালটাপালটি সংবাদ সম্মেলনের ঘটনাও ঘটেছে।

আজ সোম ও মঙ্গলবার পৃথক সংবাদ সম্মেলনে উভয় পক্ষই ঘটনার জন্য প্রতিপক্ষকে দায়ী করেছেন। এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যরা দুটি পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ায় যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে লক্ষ্মীকোল শিব ও কালী মন্দিরের পেছনের ৬ শতাংশ জমির দখল নিয়ে স্থানীয় জুয়েলারী ব্যবসায়ী বিজয় দাসের সাথে মন্দির কমিটির দ্বন্দ্ব বাধে।

এক পর্যায়ে গত রোববার মন্দির কর্তৃপক্ষ বিবাদমান জমিতে দেয়া টিনের বেড়ার কিছু অংশ ভেঙে ফেলে। এ সময় উভয় পক্ষে লোকজন জড়ো হলে ৯৯৯ এ ফোনের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে মন্দির কমিটির সভাপতি রান্টু দাস জানান, প্রায় ৮শ বছরের পুরনো এ মন্দিরের সামনে-পেছনে ২১ শতাংশ খাস জমি মন্দির কর্তৃপক্ষ ব্যবহার করে আসছে।

কিন্তু সম্প্রতি হরকুমার দাস ও তার দুই ভাই জাল দলিল করে এ জমির মালিকানা দাবি করেন। এ ব্যাপারে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা চলমান থাকলেও বিজয় দাস তাদের তিন ভাইয়ের কাছ থেকে মন্দিরের অংশ বিশেষসহ পেছনের জমি কিনে নিয়ে ভবন নির্মাণ কাজ শুরু করেন। এতে মন্দিরের ধর্মীয় কার্যক্রম ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় হিন্দুদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

অপরদিকে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে বিজয় কুমার দাস বলেন, তারা যেটাকে খাস বলছেন সেটা ব্যক্তি মালিকানা জমি। আমি সে জমি কিনে নামজারি করে দুই বছর ধরে ভূমি উন্নয়ন কর দিচ্ছি।

তাছাড়া আমার জমি আর মন্দিরের জমিও এক নয়, আবার মন্দিরের ঘরসহ জমি কিনেছি সে তথ্যও সঠিক নয়। কিন্তু কিছু মানুষ ভুল তথ্য  ছড়িয়ে কমিটির সদস্যদের উস্কে দিয়ে আমার বাড়ি নির্মাণে বাধা দিচ্ছে।

তারা টিনের বেড়া ভেঙে ফেলেছে, আমার এবং আমার স্বজনদের ওপর হামলার চেষ্টা করেছে। আমি নিজের জমিতে ঘর তোলার সুযোগসহ জীবনের নিরাপত্তা চাই।

বড়াইগ্রাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুবুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা চলমান থাকায় উভয় পক্ষকেই শান্ত থেকে আদালতের নির্দেশনা মেনে চলার জন্য বলেছি। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আমরা সজাগ আছি।