রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগে তিউনিসিয়ার বিরোধী নেতাদের বিচার আজ শুরু হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত বেশ কয়েকজন বিশিষ্ট তিউনিসিয়ান বিরোধী নেতার বিচার আজ মঙ্গলবার শুরু হচ্ছে। সমালোচক এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এটিকে অন্যায্য এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে নিন্দা জানিয়েছে।
তিউনিস থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
এই মামলায় প্রায় ৪০ জন প্রভাবশালীকে আসামি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাবেক কূটনীতিক, রাজনীতিবিদ, আইনজীবী এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বও রয়েছেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ প্রেসিডেন্ট কাইস সাইদের কট্টর সমালোচকও ছিলেন।
আইনজীবীদের মতে, এই গোষ্ঠীটির বিরুদ্ধে ‘রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র’ এবং ‘একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে জড়িত থাকার’ অভিযোগ রয়েছে। যার ফলে তাদের বড় ধরনের সাজা এমনকি মৃত্যুদণ্ডও হতে পারে।
আরব বসন্তের পর তিউনিসিয়া একমাত্র গণতন্ত্র হিসেবে আবির্ভূত হওয়ার পর সাইদ ২০১৯ সালে নির্বাচিত হন।
কিন্তু ২০২১ সালে তিনি ব্যাপক ক্ষমতা দখলের চেষ্টা করেন এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো তখন থেকেই মানুষের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষপ না করার জন্য সতর্ক করে আসছে।
আসামীদের মধ্যে রয়েছেন রাজনীতিবিদ জওহর বেন এমবারেক, আবদেলহামিদ জেলাসি এবং বিরোধী ন্যাশনাল স্যালভেশন ফ্রন্ট জোটের প্রতিষ্ঠাতা ইসাম চেব্বি। তারা সকলেই সাইদের কট্টর সমালোচক।
বেন এমবারেক তার মোবাইল ফোন থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই বিচারকে ‘বিচারিক হয়রানির’ একটি রূপ বলে অভিহিত করেছেন যার লক্ষ্য ‘সমালোচকদের কণ্ঠস্বরকে পদ্ধতিগতভাবে নির্মূল করা’। তিনি অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন।
এই মামলায় কর্মী খায়াম তুর্কি ও চাইমা ইসা, ব্যবসায়ী কামেল এলতায়েফ এবং ফ্রান্সে বসবাসকারী সাবেক সংসদ সদস্য ও মানবাধিকার কর্মী বোখরা বেলহাজ হামিদাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।
২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে সাইদ তাদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দেওয়ার পর অনেককে আটক করা হয়েছে।
একটি পৃথক মামলায় গত ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে, ইসলামপন্থী-অনুপ্রাণিত এন্নাহদা দলের নেতা ৮৩ বছর বয়সী রাশেদ ঘানুশিকে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
গত মাসে জাতিসংঘ তিউনিসিয়ার সরকারকে ‘ডজন ডজন মানবাধিকার রক্ষাকারী, আইনজীবী, সাংবাদিক, কর্মী এবং রাজনীতিবিদদের গ্রেপ্তার, নির্বিচারে আটক এবং কারাদণ্ডের ধরন বন্ধ করার’ আহ্বান জানিয়েছেন।
তিউনিসিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতিসংঘের এই বিবৃতিকে খারিজ করেছে এবং এর নিন্দা জানিয়েছে।
সূত্র: বাসস