ঢাকা | মার্চ ৩, ২০২৫ - ৭:০৪ অপরাহ্ন

শিরোনাম

ভোলায় বাজার দর নিম্নমুখী হওয়ায় ক্রেতাদের স্বস্তি

  • আপডেট: Sunday, March 2, 2025 - 12:54 pm

অনলাইন ডেস্ক :  পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে কেনা-বেচার ধুম পড়েছে ভোলার বাজারগুলোতে। সকাল থেকে রাত অবধি চলছে এ কেনা-বেচা।

রমজানের জন্য পণ্য কিনতে দেখা গেছে সকল পেশার মানুষদের। অনেকটা স্বাচ্ছন্দ্যের মধ্যেই কেনা হচ্ছে তরি-তরকারিসহ নানা দ্রব্যাদি।

বাজারদর অনেকটাই নিম্নমুখী হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন ক্রেতারা।

ক্রেতাসাধারণ বলছেন , বিগত ১৬ বছরে তারা রমজান মাসে বাজারদর স্থিতিশীল বা নিম্নমুখী দেখেননি

কিন্তু এ বছর প্রয়োজনের অতিরিক্ত কিনে গুদামজাত করার প্রবণতাও তেমন একটা দেখা যায়নি। ক্রেতাদের মতে,অনেকটা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ভোলার নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার। তবে স্থিতিশীল রয়েছে মুরগি ওমাংসের বাজার। দাম বৃদ্ধি পায়নি মুরগী, গরু ও খাসির মাংসের দাম। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৫০, খাসির মাংস ১০০০, দেশী মুরগি ৬শ’, লেয়ার ৩শ’ ৫০, সোনালি ৩শ’, ব্রয়লার ১শ’ ৯০ এবং দেশী হাঁস ৬শ’টাকা দরে বিক্রি হচ্ছ। অপরদিকে কমেছে সব ধরনের কাঁচা ভোগ্য পণ্যের দাম। প্রতি কেজি আলু-১৮, পেঁয়াজ-৩৫, রসুন-১শ’ ২০, আদা-৯০, ছোলা-১শ’, ডিম হালি প্রতি-৪১, শসা কেজিপ্রতি-৩০, বেগুন কেজিপ্রতি-৩০, কুমড়া কেজিপ্রতি-১০, টমেটো কেজি প্রতি-১২, গাজর কেজিপ্রতি-৩০, পেঁপে কেজিপ্রতি-৩০, ফুলকপি কেজিপ্রতি-২০, কাঁচা মরিচ কেজিপ্রতি-৩২, শিম কেজিপ্রতি-৪০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এসব দ্রব্যের দর কম হওয়ায় মহা খুশি সাধারণ ক্রেতারা।

ভোলার চকবাজারে আসা ক্রেতা মো. মহিবুল্লাহ বলেন, গতবছর সব কিছু ক্রয় ক্ষমতার বাহিরে ছিল। দামছিল আকাশ ছোঁয়া। কিন্ত এ বছর ভোগ্য পণ্যের দাম অনেক কম। আমরা সমমূল্যে স্বাচ্ছন্দেই বাজার করতে পারছি। বিশেষ করে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, টমেটো, শসা, বেগুন, গাঁজর, মরিচসহ সব কিছুর দামকম।

অপর ক্রেতা মোঃ সোলায়মান বলেন, রমজান উপলক্ষে বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বর্তমানে পেঁয়াজ, রসুন, আদা, শসা, গাজর, টমেটো, বেগুন ইত্যাদির দাম আগের তুলনায় অনেক সহনশীল পর্যায়ে এসেছে। তবে বাজারে ভোজ্য তেলের দাম অনেক চড়া। বর্তমানে বোতলজাত তেলের দাম ১৫/২০ টাকা বেড়েছে। কেনোলাওয়েল নাম দিয়ে এগুলো বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ তারা যেন সব সময় বাজার মনিটরিং করেন। যদি সঠিকভাবে নিয়মিত মনিটরিং করে, তাহলে দ্রব্যমূল্যর উর্ধ্বগতি রোধ করা সম্ভব। প্রশাসনের কাছে আমাদের দাবি, এ রোজার মাসে জনসাধারণের দুর্ভোগ লাঘবে তারা যেন বাজার মনিটরিং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন।

ভোলা কিচেন মার্কেটের মুরগী ব্যবসায়ী বজলু মিয়া জানান, এখন পর্যন্ত মুরগীর বাজার দর স্থিতিশীল রয়েছে। রোজার কারণে বাড়েনি। তবে ব্রয়লারের দাম কেজি প্রতি ২০ টাকা কমেছে। অন্য মুরগীর দামও ১০/১৫ টাকা কমেছে। আপাতত দাম বাড়ার সম্ভাবনা নাই। তবে ভবিষ্যতে কি হয় জানিনা।

ভোলা কাঁচা বাজারের আড়ৎদার জসিম জানান, আগে এক ট্রাক মাল আনতে পথে পথে চাঁদা দিতে হতো। এখন অনেক জায়গায়ই দিতে হয় না। তাই মোটের উপর মালের দামের পর্তা কম হওয়ায় খুচরা বাজারেও কম দামে বিক্রি করতে পারছি এবং তরি-তরকারির মৌসুম হওয়ায়ও মালের দাম কমেছে।

ভোলার জেলাপ্রশাসক মো: আজাদ জাহান বাসসকে বলেন, বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে তার প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। বিশেষ করে মজুতদারদের বিরুদ্ধে তার প্রশাসনের টাস্কফোর্স চিরুনী অভিযান অব্যহত রেখেছে বলেও জানান, জেলা প্রশাসনের এ শীর্ষকর্তা।

সূত্র: বাসস