নওগাঁয় পবিত্র রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে পণ্য বিক্রয় শুরু

অনলাইন ডেস্ক : সারাদেশের মতো নওগাঁতেও পবিত্র রমজান উপলক্ষে সুলভ মূল্যে দুধ, ডিম, ছোলা, তেল, মুড়ি, চিড়া, চিনি, গরুর মাংসসহ বিভিন্ন নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রয়ের জন্য ন্যায্যমূল্যের দোকান চালু করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে এ দোকানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ।
এ সময় জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী, সংবাদকর্মী ও সুধীজনরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধনের পরই দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভীড় লক্ষ্য করা গেছে।
অপরদিকে ন্যায্যমূল্যে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কিনতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ক্রেতারা। তবে আগামীতে অন্যান্য প্রয়োজনীয় পণ্য এই তালিকায় যুক্ত করতে এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে জেলা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।
জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে জেলার ১১টি উপজেলা প্রশাসন ন্যায্য মূল্যের দোকানের মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো বিক্রির ব্যবস্থা করছে। এই দোকানে প্রতি কেজি চিনি ১২৫ টাকা, মুড়ি ৯২ টাকা, চিড়া ভাজা ৯০টাকা, কাঁচা ৬৮টাকা, ছোলা ও মসুর ডাল ১০০টাকা, প্রতি লিটার সরিষার তেল ১৮০টাকা ও প্রতি হালি ডিম ৪০টাকা দরে পাওয়া যাবে।
রমজান মাসে যেন প্রতিটি মানুষই তাদের খাবার তালিকায় আমিষ জাতীয় খাবার পণ্য হিসেবে গরুর মাংস রাখতে পারেন সেজন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় স্বল্প মূল্যে গরুর মাংসও বিক্রি করা হচ্ছে।
এই দোকান থেকে ক্রেতারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী সপ্তাহের প্রতি শুক্রবার ও মঙ্গলবার সর্বনিম্ম ২৫০গ্রাম থেকে ২কেজি করে গরুর মাংস ৬২০টাকা কেজিতে কিনতে পারবেন বলে জানান সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনুল আবেদীন।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, জেলায় পুরো রমজান মাস জুড়েই ন্যায্য মূল্যের এই দোকানগুলো চালু থাকবে। প্রতিদিন এই দোকান থেকে সুলভ মূল্যে যে কোন ক্রেতা তাদের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যগুলো কিনতে পারবেন। রমজান মাসে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও মধ্যম আয়ের মানুষদের কথা চিন্তা করে সরকারের গৃহিত পদক্ষেপকে আমরা বাস্তবায়ন করছি।
এছাড়া টিসিবি ও ট্রাক সেল সার্ভিসগুলোও চালু রয়েছে। এতে করে দেশের নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষ রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য কিনতে কিছুটা স্বস্তি পাবেন। পরবর্তিতে ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ী আরো প্রয়োজনীয় পণ্য এসব দোকান থেকে বিক্রি করা হবে।
তিনি বলেন, খোলা বাজারের ব্যবসায়ীরা যাতে রমজান মাসকে কেন্দ্র করে কোন পণ্যের দাম বেশি না নিতে পারে সেজন্য বাজার মনিটরিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রতিদিন জেলা জুড়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
সূত্র: বাসস