মোহনপুরে ভ্যানচালককে শ্বাসরোধ করে হত্যা, গ্রেপ্তার ৪

মোহনপুর প্রতিনিধি: রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় ব্যাটারিচালিত ভ্যান চালককে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার দিবাগত রাতে রাজশাহী জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) ও জেলার মোহনপুর থানা-পুলিশ যৌথভাবে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার চারজন হলেন- মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌরসভার তিলাহারী পূর্বপাড়া গ্রামের লায়েক আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান ওরফে আরিফ (২৬), পশ্চিমপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে শয়ন ইসলাম (২৮), রাজশাহী নগরীর বুলনপুর ঘোষপাড়া গ্রামের দিপক সাহার ছেলে দেবর্শিষ সাহা (২২) ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার আলীনগর বুধপাড়া গ্রামের সাম মোহাম্মদের ছেলে আনোয়ার হোসেন (৩০)। এর আগে গত মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১২টার সময় মোহনপুর উপজেলার বড়াইল গ্রামের এক পুকুর থেকে ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারের সূত্র গেছে, গত শুক্রবার সন্ধা ৬ টার সময় আব্দুল মালেক ভ্যানগাড়ী নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন। রাতে আর বাড়িতে ফিরেনি। স্বজনেরা বিভিন্ন স্থানে খোজাখুজি করে না পেয়ে পরদিন মোহনপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
মঙ্গলবার ইয়ামিন নামের এক যুবক জমিতে পানি সেচ দিতে গিয়ে ভাসমান মরদেহ দেখতে পান। খবর পেয়ে মোহনপুর থানা পুলিশের সহযোগিতায় পরিবারের লোকজন নিহত আব্দুল মালেক মরদেহ সনাক্ত করেন।
লাশের পরনের লুঙ্গি ও জ্যাকেট ছিল। রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল হেলেনা আক্তারের উপস্থিতে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ এবং পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) আলামত সংগ্রহ করে।
মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায় পুলিশ। এ নিয়ে মোহনপুর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা হয়। পরে খুনের রহস্য উদঘাটনে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান জানান, গত ২১ ফেব্রুয়ারি থেকে নিখোঁজ ছিলেন ভ্যানচালক আব্দুল মালেক। ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে আসামিরা কোমল পানীয়র সাথে অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খাইয়েছিল। তারপরও মালেকের ঘুম না এলে তারা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে।
এরপর তার ভ্যানটি নিয়ে গিয়ে বিক্রি করে দেয়। মূলত ওই ভ্যানের জন্যই খুন করা হয় আব্দুল মালেককে। অভিযানে ভ্যানগাড়ী ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা এই খুনের ঘটনা স্বীকার করেছে।