ইউএনও অফিসের কর্মকর্তার কাছ থেকে টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে মামলা

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি: রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) কার্যালয়ের উপ-প্রশাসনিক কর্মকর্তা হাফিজুর রহমানকে ফাঁদে ফেলে ১০ লাখ টাকা আদায়ের চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে গোদাগাড়ী থানায় মামলাটি দায়ের করেন হাফিজুর।
মামলায় ৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এদের মধ্যে দুজন সরকারি কর্মচারী। মামলায় অজ্ঞাত আরও ৭-৮ জনকে আসামি করা হয়েছে। এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন- মো. অলিউল্লাহ, নূর আলম, নয়ন, নাজির, মামুন, ফরহাদ, নাদিম পারভেজ, আবদুল মান্নান ও ববিতা খাতুন।
গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এজাহারের বর্ণনা অনুযায়ী, হাফিজুর রহমান রাজশাহী শহর থেকে অফিসে যাতায়াত করেন। গোদাগাড়ীতে তার একটি সরকারি কোয়ার্টারও নেওয়া আছে। অফিসের কাজে যেদিন রাত হয়ে যায়, সেদিন তিনি ওই কোয়ার্টারে থাকেন।
এছাড়া সেখানে দুপুরে খান এবং বিশ্রাম নেন। ইউএনও’র বাসভবনের গৃহপরিচারিকা তার দুপুরের খাবার এনে দেন। গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি খাবার খেতে ওই কোয়ার্টারে যান। তখন খাবার নিয়ে আসেন ওই গৃহপরিচারিকা। হাফিজুর যখন খাবার খাচ্ছিলেন, তখন মামলার আসামিরা কোয়ার্টারে গিয়ে দরজা খুলতে বলেন।
হাফিজুর দরজা খুলে দিলে তারা ভেতরে ঢোকেন এবং অভিযোগ তোলেন যে ওই গৃহপরিচারিকার সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক আছে। হাফিজুর রহমান এ সময় ইউএনওকে ফোন করার চেষ্টা করলে তার দুটি মোবাইল ফোনই কেড়ে নেয়া হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা হাফিজুরকে ফাঁদে ফেলে তার কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা আদায়ের পরিকল্পনা করেছিলেন। তারা ওই কোয়ার্টারে থাকা অবস্থায় নগদ ১০ লাখ টাকা অথবা চেক লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেন। তা না হলে ওই নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক আছে, এমনটি প্রচার চালানো হবে বলে তারা ভয় দেখিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
গোদাগাড়ী থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। আর বিষয়টি ব্যক্তিগত জানিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি ইউএনও ফয়সাল আহমেদ।