পাকিস্তানে মসজিদে বোমা হামলায় নিহত ৬

অনলাইন ডেস্ক: পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের একটি মসজিদে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে সন্ত্রাসীদের বোমা হামলায় ৬ জন মুসল্লী নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অপর ১৩ জন মুসল্লী।
পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ার আগ মুহূর্তে ওই হামলার ফলে পাকিস্তানে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। পাকিস্তানের ‘ডন’ পত্রিকার উদ্ধৃতি ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ‘ইরনা’ আজ এই খবর জানিয়েছে।
পাখতুনখোয়া প্রদেশের আকোরা খট্টক এলাকায় অবস্থিত দারুল উলুম হক্কানিয়া মসজিদে গতকাল শুক্রবার জুমার নামাজের সময় ওই বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে একজন প্রখ্যাত ধর্মীয়-রাজনৈতিক নেতাসহ অন্তত ৬ জন নিহত ও অপর ১৬ জন আহত হন।
এদিকে ইরান পবিত্র জুমার দিনে এই ধরনের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাকায়ি ওই হামলার নিন্দা জানানোর পাশাপাশি শোকাহত পরিবারবর্গ এবং পাকিস্তানের সরকার ও জনগণকে শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তিনি আহতদের আশু আরোগ্য কামনা করেন। ইরানের এই মুখপাত্র যেকোনো ধরনের সন্ত্রাসবাদ ও উগ্র সহিংসতার বিপক্ষে তার দেশের শক্ত অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বাকায়ি বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ও উগ্রবাদ প্রতিহত করার জন্য আঞ্চলিক সব দেশের মধ্যে সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। সন্ত্রাসীদের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদের সহযোগী, পরিকল্পনাকারী ও আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতাকারী নির্বিশেষে এই খাতে জড়িত সবার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শুক্রবারের বোমা হামলার দায়িত্ব স্বীকার করেনি, তবে ইসলামাবাদ এই ধরনের হামলার জন্য আফগানিস্তান-ভিত্তিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে দায়ী করেছে। পাকিস্তান অভিযোগ করে আসছে, দেশটির অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে উগ্র সন্ত্রাসীরা আফগানিস্তানে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায়। ২০২১ সালের আগস্ট মাসে ক্ষমতায় আসা আফগানিস্তানের তালেবান সরকার অবশ্য পাকিস্তানের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সূত্র: বাসস