ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২৬, ২০২৫ - ২:১৪ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

‘আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে সহায়তা করতে গিয়ে মবের শিকার হই’

  • আপডেট: Tuesday, February 25, 2025 - 10:32 pm

সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সাবেক সমন্বয়ক মিশু:

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক: অপারেশন ডেভিল হান্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে গিয়ে আওয়ামীপন্থীদের মবের শিকার হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাবেক সমন্বয়ক গোলাম কিবরিয়া মেশকাত চৌধুরী মিশু। এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি’র কার্যালয়ের পাশে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি জানান। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী জেলার মুখ্য সংগঠক সোহাগ সর্দার, যুগ্ম-আহ্বায়ক এম এ বারী ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাবেক সমন্বয়ক মেশকাত চৌধুরী মিশু বলেন, ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে দেশের ছাত্র-জনতার ওপর গণহত্যার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন প্রভাবশালী মহলের আশ্রয় প্রশ্রয়ে ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন। বেশ কয়েকদিন ধরে নগরীর পদ্মা আবাসিকে অবস্থিত বারিন্দ মেডিকেল কলেজ থেকে আমাদের কাছে বেশকিছু অভিযোগ আসতে থাকে। সেখানে আওয়ামী লীগের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের বাবার (যিনি শাহরিয়ার আলমের অবর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন) আশ্রয়ে বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সেখানে কর্মরত রয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘চলমান অপারেশন ডেভিল হান্টে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করতে আমরা সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে যাই। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠানটির সচিব (ভারপ্রাপ্ত) তাজুল ইসলাম রনির সাথে যোগাযোগ করে আমরা প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল, চেয়ারম্যানের সাথে আলোচনায় বসি। আলোচনার এক পর্যায়ে সেখানে কর্মরত বেশ কয়েকজন অফিস স্টাফ (যারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত) এবং স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাকর্মী ঢুকে পড়েন এবং আমাদের সাথে বাকবিতণ্ডা শুরু করেন। এরমধ্যে রুম এবং প্রতিষ্ঠানটির বাইরে মব তৈরি করে আমাদের আটকে ফেলা হয়। এই পরিস্থিতিতে আমরা পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভাইদের সহায়তায় সেখান থেকে বের হই।’

এই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনাকে ইস্যু করে ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের চাঁদাবাজ বানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করা হয়। কোনো ধরনের অভিযোগ কিংবা তথ্যপ্রমাণ ছাড়া যে সমস্ত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আমার মর্যাদাহানির উদ্দেশ্যে ডিজিটাল স্পেয়ারে অপপ্রচার চালিয়েছে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি। ঘটনার সাথে জড়িত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের অনতিবিলম্বে গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি।’

প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর বারিন্দ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘চাঁদাবাজি’ করতে গিয়ে রাজশাহীর চারজন সমন্বয়ক আটক হয়েছেন বলে একটি খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তাদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে নগরীর চন্দ্রিমা থানায় নিয়ে যায় বলে জানা যায়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাদেরকে ছেড়ে দেয়া হয়। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সমন্বয়কেরা রাতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

এ বিষয়ে নগরীর চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সমন্বয়কেরা কয়েকজন প্রতিষ্ঠানটির এমডির ছেলের (শাহরিয়ার আলম) খোঁজ খবর নিতে গেছিল। তাদের সাথে প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের মধ্যে বাকিবতণ্ডা হয় এবং তাদের অবরুদ্ধ করা হয়। পরে আমরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করেছি।’