ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২৫, ২০২৫ - ৪:৪১ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

জাতীয় নির্বাচন ছাড়া কোন নির্বাচন বিএনপি মেনে নেবেনা: রাজশাহীতে ফজলুর রহমান

  • আপডেট: Monday, February 24, 2025 - 8:59 pm

স্টাফ রিপোর্টার: বিএনপি হচ্ছে জনগণের দল। জনগণকে রক্ষা করতে বিএনপিকে শক্ত পিলার হিসেবে দাঁড়াতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে স্বৈরাচার খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ায় দেশ দ্বিতীয়বার স্বাধীন হয়েছে। পতিত সরকারের আমলে নেতাকর্মীরা বাড়িতে ঘুমাতে পারেনি। তারা কেউ ঢাকায় যেয়ে রিক্সা চালিয়েছে। কেউ বনে জঙ্গলে গিয়ে পালিয়ে থেকেছে। আবার অনেক নেতাকর্মী বছরের পর বছর জেলে থেকেছে। তবু তারা বিএনপি , অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠন ছেড়ে চলে যায়নি।

রাজশাহী জেলা বিএনপি আয়োজিত নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, আইন শৃংখলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে, পতিত ফ্যাসিবাদী ও তার দোসরদের নানা মুখি ষড়যন্ত্র রুখে দিতে এবং দ্রুত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষনার দাবীতে বিএনপি কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান এই কথা গুলো বলেন।

তিনি আরো বলেন, বিএনপি’র পঁচিশ হাজার নেতাকর্মী একসাথে জেল খেটেছে। জেল থেকে জামিনে বেরিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় মিছিল দেখে আবারও মিছিলে যোগ দিয়ে পুণরায় আটক হয়েছে। তিনি বলেন, পতিত সরকারকে দেশ থেকে বিতাড়িত করতে এবং তত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে আন্দোলন করার জন্য ইলিয়াস আলীর মত বারশত নেতাকে গুম করা হয়েছে। দুই হাজার নেতাকে হত্যা এবং পঞ্চাশ লক্ষের উপরে নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে।

প্রধান অতিথি আরো বলেন, বিএনপি সেই কর্মী, যারা কোন কিছুতেই ভয় পায় না। বিএনপি দীর্ঘ ষোল বছর সরকার পতন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের জন্য আন্দোলন করেছে। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে থেকে দল গঠন করাই যায়। তৃনমুলে এসে তৃনমূলের মানুষের সাথে থেকে কাজ করে রাজনৈতিক দল গঠন করেন। দেখেন কেমন লাগে। রাজপ্রাসাদে বসে থেকে দল গঠন মেনে নেয়া হবেনা বলে জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, একটি দল এখন স্লোগান দিচ্ছে দুই সাপের একই বিষ নৌকা আর ধানের শীষ। সেই দলকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, যে দলের সারা দেশে ১০ভাগ ভোট নেই। যে দল অন্যের উপরে নির্ভরতা ছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহন করতে পারেনা, সেই দলের কথায় এদেশ চলতে পারেনা। পতিত সরকার ছিলো জাতীয় সরকার। সেজন্য সবার আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এছাড়া এ দেশে কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবেনা বলে হুঁশিয়ারী দেন তিনি। কারন তত্বাবধায়ক সরকারের দাবীর একটাই লক্ষ ছিলো জাতীয় সংসদ নির্বাচন, কোন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ এর সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ শাহীন শওকত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নজরুল হুদা ও সদস্য সচিব মামুন-অর-রশিদ মামুন। রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব অধ্যাপক বিশ্বনাথ সরকারের সঞ্চালনায় আরো উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল শরীফ উদ্দীন, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও পুঠিয়া বিএনপি’র আহ্বায়ক আবু বকর সিদ্দিক, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র সদস্য দেবাশীষ রায় মধু, জেলা বিএনপি’র সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মহসিন, রায়হানুল আলম রায়হান, তাজমুল তান টুটুল, গোলাম মোস্তফা মামুন, রুকুনুজ্জামান আলম, তোফায়েল হোসেন রাজু, মাহমুদা হাবিবা, জাকিরুল ইসলাম বিকুল, মহানগর বিএনপি’র যুগ্ম আহ্বায়ক শাফিকুল ইসলাম শাফিক ও গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি’র সদস্য অ্যাডভোকেট সুনতানুল আলম তারেক।

এছাড়াও যুবদল রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মাসুদুর রহমান সজন, মহানগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক শরিফুল ইসলাম জনি, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়সাল সরকার ডিকো, সদস্য সচিব রেজাউল করিম টুটুল, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান জনি, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরফিন কনক ও সদস্য সচিব শাহরিয়ার আমিন বিপুল উপস্থিত ছিলেন।