পদ্মার ভাঙন রোধে চারঘাটে বৃক্ষ রোপণ

চারঘাট প্রতিনিধি: পদ্মা নদীর ভাঙন রোধে রাজশাহীর চারঘাটের পদ্মা ও বড়াল নদের মোহনায় নদী তীরস্থ সরকারি খাস জমিতে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার বিকালে চারঘাট পৌরসভার আয়োজনে এবং উপজেলা কৃষি ও বন বিভাগের সহযোগিতা সামাজিক বনায়নের উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস।
এসময় জার্মান ফেডারেল মিনিস্ট্রি ফর ইকোনমিক কো-অপারেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের অর্থায়নে নেয়া প্রকল্প ইনোভেশনস ফর ক্লাইমেট-স্মার্ট আরমান ডেভেলপমেন্টের প্রতিনিধি দল পদ্মা-বড়াল নদীর মোহনার বিস্তৃত সরকারি ঘাস জমি পরিদর্শন করেন এবং সামাজিক বনায়ন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন হেড অফ প্রজেক্ট মাহমুদুর রহমান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) রাজশাহী জেলার সভাপতি জামাত খান, রাজশাহী পানি উন্নয়ন উপ-বিভাগ-২ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী পার্থ সরকার, কৃষি কর্মকর্তা আল মামুন হাসান, উপজেলা প্রকৌশলী রতন কুমার, চারঘাট মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল খালেক, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন চারঘাট উপজেলার সদস্য সচিব সনি আজাদ, চারঘাট পৌরসভার সচিব মোবারক হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ ও বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ।
সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরুর আগে সহকারী কমিশনার (ভূমি) আরিফ হোসেনের নেতৃত্বে পদ্মা-বড়াল মোহনার সরকারি খাস জমির সঠিক সীমানা নির্ধারণ করে লাল পতাকা ও সাইনবোর্ড স্থাপন করা হয়। এরপর সেখানে খয়ের গাছ রোপণের মাধ্যমে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম শুরু করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, পদ্মা-বড়াল নদের পাশেই বাংলাদেশ পুলিশ একাডেমি, উপজেলা ভূমি অফিস, চারঘাট মডেল থানা ও দুইটি বিজিবি ক্যাম্প রয়েছে। এজন্য এই দুই নদীর তীরবর্তী অঞ্চলকে নদী ভাঙন রক্ষা করতেই আমাদের এ উদ্যোগ। জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কাজ করা জার্মানির অর্থায়নে পরিচালিত একটি সংস্থাও জায়গাটি পরিদর্শন করেছে।
এ ক্ষেত্রে সেখানে প্রকল্প গ্রহণ করলে নদী ভাঙন রক্ষার পাশাপাশি চারঘাট উপজেলাবাসীর অবসর সময় কাটানোর মত সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) রাজশাহী জেলার সভাপতি জামাত খান বলেন, পদ্মা-বড়াল নদীর বেশিরভাগ অংশই দখলকারীদের দখলে চলে গেছে। নদীর জমির মাটি খনন করে বিক্রিসহ সেখানে বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে। এজন্য আমরা চাই নদীর উপযুক্ত পরিবেশ ঠিক রাখতে নদীর জায়গাগুলো দখলমুক্ত রাখা হোক। তীরবর্তী জমিতে বৃক্ষ রোপণের মাধ্যমে জমি দখলমুক্ত করার প্রথম ধাপের কার্যক্রম শুরু হলো।