ঢাকা | ফেব্রুয়ারী ২১, ২০২৫ - ৬:০৩ পূর্বাহ্ন

শিরোনাম

দুর্গাপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেই হাট-বাজার

  • আপডেট: Tuesday, February 18, 2025 - 7:06 pm

শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি, মিশ্র প্রতিক্রিয়া এলাকাবাসীর

মিজান মাহী, দুর্গাপুর থেকে: দীর্ঘদিন ধরে রাজশাহীর দুর্গাপুরের বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠ দখল করে বসছে হাট বাজার। সপ্তাহে দুই দিন হাটের ক্রেতা বিক্রেতার ভিড়ে লোকে লোকারণ্য হয় পুরো মাঠ। মাঠে হাট বসায় চরম দুর্ভোগে পড়ে শিক্ষার্থীরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বাজুখলসী সরকারি বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে ট্রাক থামিয়ে সবজি তোলা হচ্ছে। বিদ্যালয়ের মাঠে বসেছে সবজিসহ বিভিন্ন পণ্যের হাট। মাঠেই ব্যবসায়ী ও ক্রেতা-বিক্রেতার আনাগোনা ঁেচচামেচির মধ্যেই চলছে ক্লাস। হাট বসার কারণে শিক্ষার্থীদের ক্লাস ও চলাফেরায় ব্যাঘাত ঘটছে।

এ নিয়ে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। কয়েকজন অভিভাবক জানান, সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার দুই দিন বিদ্যালয়ে মাঠে হাট বসে। সেখানে বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা আসেন। হকার বসেন। মাইকে বিকট শব্দ হয়। এতে ছেলে মেয়েদের পড়ালেখায় মন বসে না। বিদ্যালয় মাঠে হাট বন্ধের জন্য একাধিকবার উদ্যোগ নিলেও তা সফল হয়নি।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রিফাক শিমুল ও সুজন জানান, আমরা কোন সময় বিদ্যালয় মাঠে ঘাস দেখি না। আমাদের খেলাধুলা করতে ইচ্ছে করে। কিন্তু সপ্তাহে দুইদিন হাটবসার কারণে মাঠের নোংরা পরিবেশ থাকে। আমরা স্বাভাবিক, স্বাচ্ছন্দ পরিবেশে শারীরিক কসরত ও মুক্তভাবে খেলাধুলা করতে চাই। আমাদের মাঠে আর হাট দেখতে চাই না। বাজুখলসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানশিক্ষক মরিয়ম বেগম বলেন, আমার বিদ্যালয়ে ৩ শ’র ওপরে শিক্ষার্থী আছে। আমার কিছু করার নেই।

এর আগে বিদ্যালয় মাঠের প্রধান ফটকে তালা মেরেও হাট বন্ধ করা যায়নি। প্রভাবশালীদের দাপটে আবারও বিদ্যালয় মাঠে হাট চালু রয়েছে। মরিয়ম বলেন, সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত বিদ্যালয়ের বারান্দা ঘেঁষে কেনাবেচা চলে। দুর্গাপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আমি এখানে আসার পর থেকে দেখছি এই বিদ্যালয়ের এ অবস্থা।

হাট বসানোর কারণে শিক্ষার্থীদের চলাচল ও খেলাধুলার কঠিন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। যেহেতু সেখানে সরকারিভাবে হাট বসে। নতুন অর্থবছরে বিদ্যালয় মাঠ থেকে হাটটি সরিয়ে অন্যত্র নেয়া যায় কী না, বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হবে।