চাঁপাইয়ে অটোরিকশাচালক হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িতসহ চারজন গ্রেপ্তার

চাঁপাইনবাবগঞ্জ ব্যুরো: চাঁপাইনবাবগঞ্জে অটোরিকশা চালক হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত ২ জনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। অটোরিকশা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যেই এই হতাকাণ্ড সংঘটিত হয়।
গ্রেপ্তারকৃত হলো, রাজশাহী জেলার তানোর থানার কলমা গ্রামের একরামুল হকের ছেলে রকি (৩২) এবং একই জেলার মতিহার থানার কাজলা মহল্লার রফিকুল ইসলামের ছেলে জনি (২৪), তানোর থানার হাতিশাহিলপাড়া গ্রামের মৃত ফয়জুদ্দিন মন্ডলের ছেলে জুয়েল (৪০) এবং নওগাঁ জেলার মান্দা থানার চৌবাড়িয়া পশ্চিমপাড়া আব্দুর রশিদের ছেলে সানোয়ার হোসেন।
সোমবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার রেজাউল করিম জানান, গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের কালিনগর গদাইটোলা গ্রাম থেকে নিহত পলাশ হালদার জেলা শহরের থেকে যাত্রীসহ অটোরিকশা নিয়ে আমনুরা যায়। সেখানে তার বাবার সাথে দেখা করে দুইজন যাত্রী নিয়ে আবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা শহরে আসার পথে নিখোঁজ হয়।
পরে তাঁর কোন খোঁজ-খবর না পেয়ে পরের দিন বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রয়ারি) পলাশের পরিবার থানায় জিডি করে। পরে সদর উপজেলার ঝিলিম ইউনিয়নের নয়ানগর এলাকার একটি সরিষা খেত থেকে পলাশ হালদারের মরদেহ পুলিশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় তথ্য উপাত্তের সহায়তা নিয়ে গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ শাহিন আকন্দ এর নের্তৃত্বে একদল পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে গত শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) কিলিং মিশনে সরাসরি অংশ নেয়া রকি (৩২) এবং জনিকে (২৪) গ্রেপ্তার করে।
পরে গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসবাদে দেয়া তথ্যমতে, পুলিশ রাজশাহী জেলার তানোর থানার তালন্দ বাজারের একটি ওয়ার্কশপ থেকে এবং নওগাঁ জেলার নিয়ামতপুর থানার নাকোলমোড়স্থ ভাঙরির দোকান থেকে অটোরিকশার খন্ডিত অংশসমূহ উদ্ধারসহ জুয়েল এবং সানোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পুলিশ সুপার আরো বলেন, অটোরিকশা ছিনতাই করার উদ্দেশ্যে পলাশের গলায় মাফলার পেঁচিয়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করা করেছে।